শিরোনাম
ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের শারীরিক অবস্থা আগের থেকে আরও উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, নূরের সুস্থ হতে আরও চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। বর্তমানে তার ভাইরাসজনিত জ্বর হয়েছে। তা সেরে গেলে যেকোনো দিন ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
আজ সোমবার দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে নিজ কার্যালয়ে নুরুল হক নূরের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সব কথা জানান পরিচালক।
ঢামেক পরিচালক বলেন, ঘটনার দিন নুরুল হক নূরকে হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গেই তিনিসহ কয়েকজন চিকিৎসক দ্বারা একটি বোর্ড গঠন করে তার কার্যক্রম শুরু করা হয়। ওনার যেটা সমস্যা হচ্ছিল নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছিল, সেখান থেকে রক্ত পড়ছিল। পরের দিন রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছিল। চোয়ালের হাড় ফ্র্যাকচার ছিল। ভাঙা হাড় জোড়া লাগতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগবে। চোখের রক্ত জমাট ছিল, সেটাও নেই। দৃষ্টিশক্তিতে কোনো সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা মাথার ইনজুরি নিয়ে বেশি চিন্তায় ছিলাম। প্রথম সিটিস্ক্যানে রক্ত জমাট দেখা গেলেও তা ছিল সামান্য। পরে আর একটা সিটিস্ক্যান করে কোনো রক্ত জমাট পাওয়া যায়নি। অনেকেই বলছে নুরুল হকের মেমোরি লস হচ্ছে। তবে নিউরো সার্জারির চিকিৎসকেরা বলেছেন, এ রকম ইনজুরিতে মেমোরি লস হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’
নুরুল হক নূরকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, নূরের পরিবার চাইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিতে পারে।
এ সময় নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম ও চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হোসনে আরা উসমানী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বল প্রয়োগ করে। লাঠিপেটায় গণঅধিকার নেতা নুরুল হক নূর এবং দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত হওয়ায় নূরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।