শিরোনাম
দিনাজপুর, ২৮আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় গত পাঁচ মাসে ৩ হাজার নামজারি (মিউটেশন) নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
এ সময়ে নামজারি ও ভূমি উন্নয়ন খাত থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানা গেছে। যা প্রশাসনিক বা ভূমি-সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এসব কিছু সম্ভব হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন দক্ষতার জন্য।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য এ জেড এম রেজানুল হক বলেন, ইউএনও সাদ্দাম হোসেন যোগদানের পর থেকেই তিনি দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উপজেলার ভূমি সেবার চিত্র পুরোপুরি বদলে গেছে। সেবাগ্রহীতারা কম সময়ের মধ্যে তাদের প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেন।
তিনি জানান, গত এপ্রিল মাস থেকে চলতি আগস্ট এই ৫ মাসে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)’র পদ শুণ্য থাকায় ৩ হাজার নামজারি (মিউটেশন) দক্ষতার সঙ্গে তিনি নিষ্পত্তি করেছেন। এ সময়ে নামজারি ও ভূমি উন্নয়ন খাত থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
পার্বতীপুর পৌর সভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ এম মেনহাজুল হক বলেন, প্রশাসনিক কার্যক্রমকে গতিশীল ও জনবান্ধব করতে ইউএনও সাদ্দাম হোসেনের প্রচেষ্টা প্রশংসিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় এ ধরনের চৌকস ও জনবান্ধব কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলে জনগণের দুর্ভোগ থাকবে না।
আজ বৃহস্পতিবার পার্বতীপুর ইউএনও সাদ্দাম হোসেন বলেন, নিয়মাতান্ত্রিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি দপ্তরের দায়িত্ব পড়েছে আমার ওপর। ভূমি সেবায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ও হয়রানি দূর করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে জনগণকে সেবা প্রদানের চেষ্টা করেছি। আগামীতেও যেন এই ভাবে জনগণের হয়রানি রোধে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারি সেটাই প্রত্যাশা।