বাসস
  ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪৪

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের তথ্য অধিকার আইন জানা গুরুত্বপূর্ণ: সিনিয়র সচিব

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য তথ্য অধিকার আইন জানা থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইন জানা থাকা কর্মচারীরা নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে এবং জনগণের প্রতি তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২০২৫-২৫ অর্থবছরে অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুসারে ‘তথ্য অধিকার আইন এবং দি অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ বিষয়ক’ প্রশিক্ষণে সিনিয়র সচিব একথা বলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শরিফুল ইসলাম। দশম গ্রেডের কর্মকর্তাগণের এই প্রশিক্ষণে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সিনিয়র সচিব এ সময় বলেন, তথ্য অধিকার আইন এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ দুটি ভিন্ন আইন, যা সরকারি গোপনীয়তা এবং তথ্য প্রকাশের সাথে সম্পর্কিত। 

তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ নাগরিকদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করে, যেখানে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ কিছু নির্দিষ্ট সরকারি তথ্য প্রকাশে বিধিনিষেধ আরোপ করে, যা মূলত জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে। 
তিনি বলেন, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষা ও গুপ্তচরবৃত্তি সম্পর্কিত অপরাধগুলোর জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী দেশের নাগরিকরা সরকারের কাছ থেকে তথ্য জানতে চাইতে পারে। 

তবে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছু তথ্য প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক নয় বলে উল্লেখ করেন সিনিয়র সচিব। 

সালেহ আহমেদ আরো বলেন, এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো- জনগণের ক্ষমতায়ন, সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতি হ্রাস করা ও গণতন্ত্রের উন্নতি করা। 

উল্লেখ্য, তথ্য অধিকার অধ্যাদেশ ২০ অক্টোবর ২০০৮ জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশই ২৯ মার্চ ২০০৯ সালে সংসদে পাস করে একই বছর ১ জুলাই ২০০৯ সালে এটি কার্যকর হয়।