শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ, ১২ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : “প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি” এ প্রতিপাদ্যে যথাযথ মর্যাদায় নারায়ণগঞ্জে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয়েছে। যুবদের আত্মনির্ভরশীল ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণাকে সামনে রেখে দিনটি উদযাপন করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য যুব র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মিলনায়তনে অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
তারুণ্যের শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে জেলার যুব উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের তিনজন উদ্যোক্তাকে পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার ঋণের চেক প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে তাজিন মৎস খামারের স্বত্তাধিকারী তাসমিন তাজিনকে দুই লাখ টাকা, খাদিজা ফিসারিজ এর স্বত্তাধিকারী নার্গিস আক্তারকে দুই লাখ টাকা ও সুমাইয়া টেইলার্স এর স্বত্তাধিকারী সুমাইয়া আক্তারকে দেড় লাখ টাকার ঋণ প্রদান করা হয়েছে। পরে প্রশিক্ষণার্থীদের স্বপ্নের ডানাকে উজ্জীবিত করতে তাদের মধ্যে তিনজনকে শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক ও তিনজনকে সফল আত্মকর্মীর পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সফল আত্মকর্মী ফেরদৌসী মোর্শেদা নিজের সফলতার গল্প তুলে ধরে বলেন, আমি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম। এখান থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়ে আমার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। আজকে আমি নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি, আরো দশজনকে কাজ দিয়েছি। আমার সংগঠন স্বপ্ন পূরণ বুটিকস থেকে আগ্রহী মেয়েদের প্রশিক্ষিত করে থাকি। সোনার হরিণ চাকরির পিছনে না ছুটার চেয়ে যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়া সহজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলো যুবশক্তি। এই যুবশক্তিকে আমাদের সম্পদে পরিণত করতে হবে। যুবদের প্রশিক্ষিত করে সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো এই তারুণ্যের সময়। এই সময়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। প্রশিক্ষণটা হলো একটা নিয়মিত প্রক্রিয়া, এটা অনুশীলন করতে হবে। জীবনকে আপডেট করতে হবে। আমাদের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই আগামীর পথে চলতে হবে। আগামী প্রজন্মকে আমাদের নিরাপদ একটা অবস্থান দিয়ে যেতে হবে। দক্ষ সমাজ গড়ে তুলতে হলে ধৈর্য্য ও সময় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।