বাসস
  ১২ আগস্ট ২০২৫, ০০:২৫

বিচারহীনতার কারণেই সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না : এম. আবদুল্লাহ

ছবি : বাসস

ফেনী, ১১ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্বল্পতম সময়ে শেষ করার দাবি জানিয়ে বলেছেন, বিচারহীনতার কারণেই সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না।

আজ সোমবার  রাতে ফেনী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ফেনী সংবাদ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। পত্রিকার প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুফতি  আব্দুল হান্নান, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু তাহের ও একেএম আব্দুর রহিম, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন,স্টার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন,  জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহিম, এনসিপি  নেতা শাহ ওয়ালিউল্লাহ মানিক ও পত্রিকার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ।

তিনি বলেন, সাংবাদিকেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে দুর্বৃত্ত চক্রের কালো হাত গুড়িয়ে দেয়া সম্ভব। তিনি বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনে ৬১ জন সাংবাদিক হত্যা এবং সাড়ে তিন হাজার সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, হাসিনা সরকার সাংবাদিক হত্যা- নির্যাতনকে এক ধরনের বৈধতা দিয়েছিল। ভিন্নমতের সংবাদমাধ্যম বন্ধ ও সম্পাদক- সাংবাদিক নিপীড়ন নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিনত হয়েছিল। এখন আর সাংবাদিক নিপীড়নে রাষ্ট্রীয় আস্কারা নেই। হত্যা- নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এম আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা আইন শীঘ্রই অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে। এ আইনে সাংবাদিকদের শারিরীক ও আর্থিক নিরাপত্তায় অনেকগুলো ভালো পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি দায়িত্বের বিষয়েও সচেতন থাকা জরুরি। তা না হলে এ সুরক্ষা টেকসই না-ও হতে পারে।

এসময়  তিনি বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তুহিনের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের পাশে থাকবে।

ফেনীকে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার সূতিকাগার হিসেবে বর্ণনা করে সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ বলেন, দেশের দিকপাল সাংবাদিকদের বেশীরভাগই ফেনীর মাটিতে জন্মেছেন। তাদের হাতে গড়া সাংবাদিকেরা এখনও মিডিয়া জগতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফেনীর এই গৌরব ও অহংকার অক্ষুণ্ন রাখতে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছা তা লিখে দেয়া নয়।গণমাধ্যমকে অবশ্যই পেশাদারিত্ব  ও দায়িত্বশীলতার সাথে সংবাদ তুলে ধরতে হবে।