বাসস
  ১১ আগস্ট ২০২৫, ২১:৩৯

‘ক্ষুদিরামের সাহসিকতা ও দেশপ্রেম থেকে তরুণদের শিক্ষা নেওয়া উচিত’

বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। ছবি: সংগৃহীত

রংপুর, ১১ আগস্ট ২০২৫ (বাসস) : বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর অসীম সাহস, দেশপ্রেম, দৃঢ় সংকল্প ও আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে রংপুরে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘আজকের তরুণদের উচিত ক্ষুদিরাম বসুর জীবন সংগ্রাম ও সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নেওয়া, যাতে তারা বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের সংগ্রামে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে পারে।’

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসির ১১৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে কারমাইকেল কলেজ গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে  কলেজ শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

কারমাইকেল কলেজ শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মৌসুমী আক্তার মৌ-এর নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতা ও সংগঠকরা বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর স্মরণে আলোচনা সভার শুরুতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মৌসুমী আক্তার মৌ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, রংপুর মহানগর সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি যুগেশ ত্রিপুরা, সংগঠক কাফিউল ইসলাম, কলি রানি, জ্যামি, রুবা আক্তার, রঞ্জিত রায় প্রমুখ।

বক্তারা বিপ্লবী ক্ষুদিরামের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘ক্ষুদিরামের জীবন ও সংগ্রাম আজও তরুণ সমাজকে স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও সাম্যের পথে অনুপ্রাণিত করে।’

মৌসুমী আক্তার মৌ বলেন, ‘ ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার হাবিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করা ক্ষুদিরাম বসু কিশোর বয়সে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী এবং স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন। ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে সম্মুখসারিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।’

অবিভক্ত ভারতের মুজাফফরপুরে ব্রিটিশ বিচারক কিংসফোর্ডকে হত্যার জন্য বোমা নিক্ষেপ মামলায় ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারকার্য শেষে একই বছরের ১১ আগস্ট তাকে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।