শিরোনাম
ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান (এসওই) ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর (এবি) সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়ানো গেলে সরকারের ৬.৫ লাখ কোটি টাকার কনটিনেজেন্ট লায়াবিলিটি (সম্ভাব্য দায়) উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর সম্পদের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনার জন্য পূর্ণাঙ্গ সম্পদ নিবন্ধনপত্র (অ্যাসেট রেজিস্টার) তৈরি ও হালনাগাদ রাখা অত্যন্ত জরুরি।
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় দেশের প্রথম ‘প্রপার্টি, প্ল্যান্ট অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ও লিজ ব্যবস্থাপনা নীতি ও প্রক্রিয়া ম্যানুয়াল’ উদ্বোধনকালে অর্থ উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
অর্থ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালাটি অর্থ বিভাগের স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যনেজমেন্ট প্রোগ্রাম টু এনাবল সার্ভিস ডেলিভারি কর্মসূচির ‘স্ট্রেনদেনিং এসওই গভর্ন্যান্স স্কিম’ আয়োজন করে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব নাসরিন সুলতানা, গ্রেড-১ (প্রবিধি, বাস্তবায়ন, আইন ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান) এবং অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন, পরিকল্পনা ও টিডিএম) ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব রহিমা বেগম । বিস্তারিত উপস্থাপনা তুলে ধরেন যুগ্ম সচিব মো. আমিরুল ইসলাম ও মো. ফিরোজ আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন যুগ্ম সচিব মাহেদী মাসুদুজ্জামান, আবুল বাশার মুহাম্মদ আমীর উদ্দিন ও মোহাম্মদ রেজাউল হক।
সভাপতির বক্তব্যে খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, এসওই ও এবি সম্পদের সঠিক মূল্যায়ন করলে তাদের বাজারভিত্তিক ক্রেডিট রেটিং উন্নত হবে। এজন্য তিনি সব প্রতিষ্ঠানকে হালনাগাদ সম্পদ নিবন্ধনপত্র সংরক্ষণের আহ্বান জানান।
উপস্থাপনায় বলা হয়, নতুন নীতিমালায় দীর্ঘমেয়াদি দৃশ্যমান সম্পদ (জমি, ভবন, যন্ত্রপাতি) ও অদৃশ্য সম্পদ (সফটওয়্যার, মেধাস্বত্ব) ব্যবস্থাপনার জন্য শ্রেণিবিন্যাস, মূল্যায়ন, অবচয়, পুনর্মূল্যায়ন, অবচিহ্নন ও নিষ্পত্তির স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ৫০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের ব্যয় রেকর্ড করতে অর্থ বিভাগের অনুমোদন বাধ্যতামূলক।
ম্যানুয়ালে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী লিজ ব্যবস্থাপনার নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ মাসের বেশি মেয়াদি ও ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের ফাইন্যান্স লিজে ‘রাইট-অফ-ইউজ’ সম্পদ ও লিজ দায় হিসাবভুক্ত করতে হবে। অন্যদিকে অপারেটিং লিজ চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী ব্যয় হিসেবে দেখাতে হবে।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এই ম্যানুয়াল বাস্তবায়নে আর্থিক প্রতিবেদনের মানোন্নয়ন, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি ও সরকারি সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হবে। ফলে অনিয়ম কমে আসবে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের সরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।