বাসস
  ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩:৪৯

চাঁদপুরের প্রতিভাবান ‘ক্ষুদে মেসি’ সোহানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান 

ক্ষুদে ফুটবলার চাঁদপুরের সোহান। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুর, ৭ আগস্ট ২০২৫ (বাসস) : অসাধারণ প্রতিভাবান এক ক্ষুদে ফুটবলার চাঁদপুরের ‘ক্ষুদে মেসি’ সোহানের দায়িত্ব নিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় দলের সাবেক সাফ জয়ী অধিনায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক চাঁদপুরে এসে ফুটবলের সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ প্রদান করেন ‘ক্ষুদে মেসি’ সোহানকে।

‘ক্ষুদে মেসি’ ছয় বছরের সোহান চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডর সাড়ে পাঁচআনী গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ সোহেল প্রধানের ছেলে।

মাত্র আড়াই বছর বয়সে দাদা মৃত শাহ আলম প্রধান একটি ফুটবল কিনে দেন সোহানকে। সে থেকেই শুরু হয় তার ফুটবলে হাতে খড়ি।

প্রতিদিন বাবার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে সে। মাত্র সাড়ে ৫ বছর বয়সে ফুটবল নিয়ে তার ড্রিবলিং ও স্কিল দেখে অনেকেই অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে তার দিকে। যা রীতিমতো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া। তখনই নজরে আসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয় দলের সাবেক সাফ জয়ী অধিনায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের। এরপরই ছুটে আসেন আমিনুল হক।  ‘ক্ষুদে মেসি’ সোহানের পরিবারকে উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

সোহানের বাবা মো. সোহেল প্রধান বলেন, ‘আমি এই দেশে জন্ম নিয়ে সার্থক। আমার ছেলেকে আজকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়েছে। আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই তারেক রহমান ও আমিনুল হককে। আমাদেরকে যে সম্মান দেয়া হয়েছে এটা কখনোই ভুলার নয়। সবার সহযোগিতা নিয়ে আমার ছেলে একদিন অনেক বড় ফুটবল খেলোয়াড় হবে।’ 

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘সোহানের ফুটবল খেলার ভিডিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক ভাবে পড়াশোনা থেকে শুরু করে সোহানের খেলাধুলার সকল দায়িত্ব তারেক রহমান নিয়েছেন। সোহানের জন্য ফুটবল খেলার সকল সরঞ্জাম ও কিছু নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিমাসে সোহানের জন্য তারেক রহমান একটি সম্মানজনক অর্থ প্রদান করবেন। সোহানের পরিবার যেন আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ফিরে পায়, সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করব। আল্লাহ পাক আমাদের যতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন বিএনপি সব সময় তাদের পাশে থাকবে।’ 

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে, বেসরকারি ও সরকারি বিদ্যালয় এবং উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে পাঁচটি ইভেন্ট বাধ্যতামূলক করে তাদের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করব। বিশেষ করে অলিম্পিক গেমস, সাউথ এশিয়া গেমস কিংবা সাফ গেমসে যে ধরনের ইভেন্টগুলোতে বাংলাদেশ ভালো কিছু করে, যেখানে সুযোগ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়া। যার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুস্থ জাতি হিসেবে উপহার দিতে চাই।