শিরোনাম
নওগাঁ, ৭ আগষ্ট, ২০২৫ (বাসস) : জেলার মান্দায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে আত্রাই নদীর পানি। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এতে নদীর দুই তীরে অবস্থিত বেড়ি বাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ৩০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আত্রাই নদীর পানি ১০০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নদীর মান্দার জোতবাজার পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ মিটার। আর মাত্র ১ মিটার বাড়লেই উভয় তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চরম ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ অবস্থায় আগাম প্রস্তুতি নিতে জরুরি সভা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ বেলা ১১টার দিকে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও আখতার জাহান সাথী। এ সময় উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান নওফেল আলী মণ্ডল, অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মণ্ডল, জাইদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের প্রশাসক ইমরান হোসেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বাঁধ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা, বাঁশ ও প্রয়োজনীয় উপকরণ মজুত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি শুকনো খাবার মজুতের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
সভায় উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলা এলাকার অন্তত ১০টি বেড়ি বাঁধকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের লক্ষ্মীরামপুর, আঁয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ অন্তত ২০টি পয়েন্টকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।
নদীর পানি বৃদ্ধি ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংক্রান্ত বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আত্রাই নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে আমরা আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জরুরি সভা করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন বালুর বস্তা, বাঁশ ও অন্যান্য সামগ্রী প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দুর্যোগ মোকাবেলায় শুকনো খাবার মজুত ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতের বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।