শিরোনাম
চাঁদপুর, ১ আগস্ট ২০২৫ (বাসস): বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাই মাসে নিহতদের স্মরণে ‘রিমেম্বার দ্য হিরোস’ কর্মসূচি পালন করে চাঁদপুর জেলা ছাত্র আন্দোলন। ১ আগস্টের কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হন ২০ শিক্ষার্থী। লাঞ্ছিত হন আন্দোলনকারী ছাত্রীরা। এদিন বিকেল ৫টার দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ড ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের সামনে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
হামলার সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছুটাছুটি করতে থাকলে পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকা জুড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষার্থীদের ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়। আহত শিক্ষার্থীরা আত্মরক্ষার জন্য চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হামলার শুরুতে পুলিশ সদস্যদের নিষ্ক্রিয় দেখা গেলেও পরে প্রায় আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১ আগস্ট ২০২৪। বিকেল ৩টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের ষোলঘর এলাকায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে তাদের একাধিকবার ধাওয়া করে ছাত্রলীগ। ধাওয়া খেয়ে আবারও শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয় শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের সামনে। সেখানে তারা স্বৈরাচারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে তাদের দাবি জানায়।
বিকেল ৫টার দিকে ছাত্রলীগের দেড়শতাধিক কর্মী শিক্ষার্থীদের সমাবেশে প্রবেশ করে। এসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা ‘জয় বাংলা, স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা অতর্কিতভাবে হামলা করে শিক্ষার্থীদের ওপর। পুলিশের সামনেই তারা লাঠিসোঁটা দিয়ে শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শহরের পশ্চিম দিকে নিয়ে যায়। ওই সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলের বিপরীত দিকে অবস্থান নেয়। শেষ মুহূর্তে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেদিনের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রীরা জানান, ১ আগস্টের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের চুল ধরে টানাটানি করে এবং গায়ে হাত দেয়। তারা বলেন, আমরা পুলিশের কাছে ২০ মিনিট সময় চেয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও পুলিশের উপস্থিতিতে তারা এমন ঘটনা ঘটায়।
সেদিনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান বলেন, আমরা ছাত্রদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শামিল হয়ে সেদিনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করি। তখনও আমাদের সরকার পতনের আন্দোলনের উদ্দেশ্যে ছিল না। কিন্তু সরকারদলীয় কতিপয় বিশৃঙ্খল লোক আমাদের সমাবেশে প্রবেশ করে আন্দোলনকারীদের মারধর করে।