বাসস
  ৩১ জুলাই ২০২৫, ২২:১৬

পলিথিন ও শব্দ দূষণ রোধে সারা দেশে জোরালো অভিযান : জরিমানা, জব্দ ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ঢাকা, ৩১ জুলাই, ২০২৫(বাসস): পরিবেশ অধিদপ্তর আজ একযোগে নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, বান্দরবান ও রাজধানীর  পলাশী মোড়, চকবাজার, ইমামগঞ্জ, সোয়ারিঘাট ও লালবাগ এলাকায় ৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘনের কারণে পলিথিন ও শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযান শেষে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের দায়ে ১২টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় মোট ২৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৪ হাজার ৫৬০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।

এদিকে,রাজধানীর চকবাজার, সোয়ারিঘাট ও লালবাগ এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারি ও রেকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দোকান মালিক, সুপারশপ ও সাধারণ জনগণকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করা হয়।

একই দিনে নীলফামারী জেলায় শব্দ দূষণবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। ১টি মোবাইল কোর্ট ২টি মামলায় ১ হাজার  টাকা জরিমানা আদায় করে এবং ২টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করে। এ সময় কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।

নারায়ণগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের আরেকটি অভিযানে অবৈধভাবে পরিচালিত একটি কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

চলতি বছরের  ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর দেশজুড়ে ১ হাজার ২৯৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। যার মাধ্যমে মোট ৩ হাজার ১৭০টি মামলায় ২৫ কোটি ৮১ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এই সময়ে ৪৮৪টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ২১৬টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং ১৩৩টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে।

এছাড়া ১৬টি পলিথিন কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়েছে। ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

নিয়ম না মানায় ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১২টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৯টি ট্রাকভর্তি সীসা ও ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে এবং কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের দূষণবিরোধী অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।