শিরোনাম
সিলেট, ৩০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুলশিক্ষার্থী সুমেল হত্যা মামলায় আট আসামির মৃত্যুদণ্ড ও সাত জনের যাবজ্জীবন দণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অন্য ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহীন এই রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সিলেট জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর আশিক উদ্দিন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম, নজরুল আলম, সদরুল, সিরাজ উদ্দিন, জামাল, রাজন মিয়া শাহিন, আব্দুল জলিল ও আনোয়ার হোসেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- ইলিয়াছ মিয়া, আব্দুন নুর, জয়নাল, আশিক, আসকির মিয়া, ফরিদ মিয়া ও আকবর মিয়া।
এছাড়া লুৎফুর রহমান, ময়ুর মিয়া, মামুনুর রশিদ (পলাতক), কাউসার, দিলাফর আলী, পারভেজ, ওয়াহিদ, দিলোয়ার হোসেন,মুক্তার আলী, আব্দুর রকিব, আঙ্গুর আলী, জাবেদ ইসলাম, শফিক, মখলিস আলী, ফিরোজ মিয়া, ফখর উদ্দিন ও আজাদ মিয়াকে দুই বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে।
আদালতের পিপি জানান, রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট। রায় ঘোষণার সময় একজন আসামি ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১ মে (শনিবার) বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলার চৈতন নগরের নজির উদ্দিন ও মানিক মিয়ার জমিতে জোরপূর্বকভাবে মাটি কাটতে যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম। মাটি কাটতে নিষেধ দিলে সাইফুল আলম ও তার বাহিনী বন্দুক, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় স্কুলছাত্র সুমেল ও তার বাবা আব্দুল মানিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সুমেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্কুলছাত্র সুমেল আহমদ শুকুর স্থানীয় শাহজালাল (রহ.) উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ঘটনার দুই দিন পর ৩ মে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত সুমেলের চাচা ইব্রাহীম আলী সিজিল।
বিশ্বনাথ থানার তৎকালীন ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। মামলায় মোট ২৩ জন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
গত ১৩ জুলাই মামলাটি যুক্তিতর্ক শেষ হয়। আজ ৩০ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।