শিরোনাম
কক্সবাজার, ২৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল রোববার থেকে উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে প্রবাল সমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের বিভিন্ন অংশ। জোয়ারের আঘাতে সেখানকার সমুদ্র তীরবর্তী ১১টি হোটেল রিসোর্টের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দু’দিনে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বড় বড় ঢেউ যেন তাণ্ডব চালিয়েছে। পাকা স্থাপনাসহ ১১টি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে বহু গাছপালা।
ক্ষতির শিকার হোটেলগুলো হলো-হোটেল অবকাশ, নোনাজল বিচ রিসোর্ট, আটলান্টিক রিসোর্ট, বিচ ক্যাম্প রিসোর্ট, নিল হাওয়া বিচ রিসোর্ট, শান্তিনিকেতন বিচ রিসোর্ট, মেরিন বিচ রিসোর্ট, পাখি বাবা রিসোর্ট, সি-ভিউ রিসোর্ট, ড্রিমার্স প্যারাডাইস রিসোর্ট, সানডে বিচ রিসোর্ট।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ১-৩ ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় দ্বীপের বিভিন্ন অংশের গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
লোকালয়ে জোয়ারের লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এমন ভয়াবহতা এর আগে দেখেনি দ্বীপবাসী। ঢেউয়ের আঘাতে ১১টির মতো হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেন্ট মার্টিনের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, বিচ সংলগ্ন অধিকাংশ হোটেল জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি ভেসে উঠছে।
আরেক বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, গত দুই দিনের জোয়ারের পানিতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সেন্ট মার্টিনের চারপাশ। সুতরাং সেন্ট মার্টিনকে বাঁচাতে হলে টেকসই বেড়িবাঁধের কোনো বিকল্প নেনই।
তবে পরিবেশ বিদরা বলছেন ভিন্ন কথা। কক্সবাজার ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) চেয়ারম্যান এ্যাড. মুজিবুল হক বলেন, জোয়ারের পানির আঘাতে যে হোটেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে হোটেলগুলো মূলত সরকারি অনুমোদন ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটা হোটেলের বিরুদ্ধে বালিয়াড়ি দখলেরও অভিযোগ উঠেছে। মূলত প্রকৃতি সঠিক সঠিক বিচার করছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান বলেন, সেন্ট মার্টিনে জোয়ারের পানির আঘাতে বেশ কয়েকটি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুনেছি। বিষয়টি আমরা দেখছি, আরও খোঁজ-খবর নিচ্ছি।