শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, আমরা মূলধারার সঙ্গে মিশে যেতে চাই এবং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে শরিক হতে চাই।
তিনি আরো বলেন, জাতিবৈচিত্র্য বাংলাদেশের সংস্কৃতির উৎস ও শক্তি। বিভিন্ন ভাষা, জাতি ও সম্প্রদায়ের সংহতিতে গড়ে উঠেছে দেশের বর্ণিল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ‘জাতিবৈচিত্র্য দিবস’ জাতিগত সম্প্রীতি ও ঐক্যকে সুসংহত করার অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে।
রোববার রাতে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতিবৈচিত্র্য দিবস ২০২৫’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
সুপ্রদীপ চাকমা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর গুণগত শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার অভিযোগ, পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, গণিত, আইসিটি ও ইংরেজিতে পিছিয়ে আছে। তাই দক্ষ শিক্ষকের মাধ্যমে তাদেরকে দক্ষ করে তোলা হবে।
উপদেষ্টা জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে অন্তত ১শ’টি স্কুলে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ই-লার্নিং চালু করা হবে। এই উদ্যোগ শিক্ষায় প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটাবে এবং দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, তার প্রথম এজেন্ডা গুণগত শিক্ষা, দ্বিতীয় লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট এবং তৃতীয় পরিবেশ সুরক্ষা। তৃতীয়টি পরিবেশ উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে. এস. মং। আলোচনায় অংশ নেন মানবাধিকার ও সংস্কৃতি কর্মী অলিক মৃ, রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ক্য চিন ঠে ডলি রাখাইন এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চ নু মং।
সেমিনার শেষে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এসময় একাডেমি প্রাঙ্গণে ছোট ছোট স্টলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি প্রদর্শণ করা হয়।