শিরোনাম
খুলনা, ২৭ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ মনে প্রাণে দেশকে ভালোবাসে। এর প্রমাণ আমরা জুলাই আন্দোলনে পেয়েছি। দেশে যখন বৈষম্যের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়, তখনই এ দেশের ছাত্রসমাজ একাত্তরের মতো চব্বিশেও জ্বলে ওঠে। তাদের নেতৃত্বে দেশের মানুষ ফিরে পায় স্বাধীনতার স্বাদ। এখন সবাই বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়ে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছেন।
খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে খুলনা জেলা প্রশাসনের জুলাই উদ্যাপন কমিটি আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব: গণতন্ত্রের জন্য তরুণদের গর্জন’ শীর্ষক আন্তঃবিদ্যালয় বক্তৃতা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য আজ এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, তরুণরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের কণ্ঠে যদি গণতন্ত্রের দাবি জোরালোভাবে উঠে আসে, তবে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তাদের নেতৃত্বেই গঠিত হবে আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। আগামীতে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবেন, তাদের জন্য এটি একটি সংকেত, দেশের প্রয়োজনে তরুণরা কি কি করতে পারে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার ও খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজের ডা. হুমায়রা মুসলিমা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান, খুলনা মেডিকেল কলেজের ডা. শহিদুজ্জামান বাবলু ও জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আয়মান আহাদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন সুলতানা।
উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত, প্রফেসর শরিফ মোহাম্মদ খান, প্রফেসর ড. মো. আশিক উর রহমান, প্রফেসর ড. সেলিনা আহমেদ ও সহকারী অধ্যাপক তানিয়া সুলতানা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই বিপ্লবের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে সেন্ট জোসেফ স্কুল, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে খুলনা জিলা স্কুল এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে নেভি অ্যাঙ্করেজ স্কুল এন্ড কলেজ। বক্তৃতা প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।