বাসস
  ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৬:২৮

খুবিতে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ স্কলারশিপ’ পেলেন চার শিক্ষার্থী

‘শহীদ মীর মুগ্ধ স্কলারশিপ’ পেলেন চার শিক্ষার্থী। ছবি : বাসস

খুলনা, ২৬ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)’র ইউআরপি লেকচার থিয়েটারে গতকাল (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ স্কলারশিপ প্রদান ও স্মরণসভা’।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশীদ খান। সভাপতিত্ব করেন গণিত ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আজমল হুদা।

গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নূরুন্নবী, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত, শহীদ মীর মুগ্ধর বড় ভাই মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুনশি শহীদ আনিস সুমন।

অনুষ্ঠানে শহীদ মীর মুগ্ধকে স্মরণ করে বক্তব্য দেন ২০১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. জাকিরুল ইসলাম ও ২০২১ ব্যাচের কাশেম আলী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মো. আনিসুর রহমান পালাশ ও নুসরাত ইয়াসমিন কনা।

উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ‘শহীদ মীর মুগ্ধ এখন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা ছাড়িয়ে একটি স্মরণীয় নাম হয়ে উঠেছে।’

তিনি আরও বলেন, মীর মুগ্ধ ছিলেন মহৎ হৃদয়ের অধিকারী, যিনি সবসময় সমাজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চিন্তা-চেতনতায় যুক্ত ছিলেন। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাঁর শহীদ হওয়া তাঁকে অমর করে রেখেছে।’

উপাচার্য আরও জানান, মীর মুগ্ধর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের নামকরণ, ১৮ জুলাইকে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা, স্মৃতিকোণ ও পানিকল স্থাপন। এছাড়াও স্মারক ফলক নির্মাণসহ আরও কিছু উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের এই স্কলারশিপ চালুর উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এটি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে এবং সামাজিক কল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে মীর মুগ্ধর স্মৃতিকে আরও গভীরভাবে ধারণ করবে। আমি এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’

পরে প্রধান অতিথি চারজন মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ স্কলারশিপ’ তুলে দেন। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা হলেন- মো. আনিসুর রহমান পালাশ, নূর আলম, মো. আবদুল আলিম ও আহসান হাবিব।