শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিশ্বায়নের যুগে দেশের তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গত বছরের ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের প্রধান কারণ ছিল বেকারত্ব।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। আমাদের জনসংখ্যার প্রায় ৬৩ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের কম। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগাতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নগরীর বিডা মাল্টিপারপাস হলে ‘যুব উদ্যোক্তা: বিনিয়োগ, নীতি এবং বাস্তুতন্ত্র’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
আসিফ মাহমুদ যুব-কেন্দ্রিক সংস্কারের বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি যে, এমন একটি প্রজন্মের উত্থান ঘটেছে যারা অনুমতির অপেক্ষায় নেই। তারা উদ্দেশ্য ও আবেগের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। এই প্রজন্মের অগ্রযাত্রায় সকল বাধা দূর ও অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তরুণদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তাইয়্যেব তরুণ উদ্ভাবকদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণরা অপেক্ষা করছে না। তারা নির্মাণ, স্কেলিং এবং সমাধান করছে। আসল প্রশ্ন হলো আমাদের সিস্টেমগুলো কি তাদের দেওয়া প্রধান্য এবং সৃজনশীলতার সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে? যদি আমরা উদ্দেশ্য ও অংশীদারিত্বের সঙ্গে কাজ করি, তাহলে আমরা পারব।’
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘তরুণ উদ্যোক্তারা জাতীয় সম্পদ। আমাদের অবশ্যই স্মার্ট নীতিমালা, পুঁজির সহজ প্রবেশাধিকার এবং একটি সক্রিয় বাস্তুতন্ত্রের মাধ্যমে তাদের সমর্থন করতে হবে।’
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি (ভারপ্রাপ্ত) সোনালী দয়ারত্ন বক্তৃতাকালে প্রতিবন্ধকতা অপসারণের আহবান জানিয়েছেন।
লাইটক্যাসল পার্টনার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল আমিন তার গবেষণাপত্রে বর্তমান বিনিয়োগের বাধাগুলি তুলে ধরেন এবং নীতি ও যুবচালিত উদ্যোগের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনমিক অ্যাডভাইজার ওয়াইস প্যারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডক্টর মেহরুনা ইসলাম চৌধুরী এবং বিআইডিএ-এর ব্যবসায় উন্নয়ন প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
তারা জোর দিয়ে বলেন যে, উন্মুক্ত সংলাপ এবং যুব সম্পৃক্ততা সংস্কারের মূল চাবিকাঠি।
কর্মশালায় ১০০ জনেরও বেশি যুব উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক এবং অংশীদাররা উদ্ভাবন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার জন্য চ্যালেঞ্জগুলি চিহ্নিত করে সমাধান তৈরি করতে অংশ গ্রহণ করেন।
কর্মশালাটি বিআইডিএ, স্টার্টআপ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিটি বিভাগ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিস্তৃত নীতি রোডম্যাপ তৈরির যৌথ প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে শেষ হয়, যা যুবসমাজকে দেশের প্রবৃদ্ধির উচ্চাকাঙ্খার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখবে।