শিরোনাম
সিরাজগঞ্জ, ১৩ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেইসাথে চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙ্গনে বসতবাড়িসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে আরও ২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে যমুনার বিভিন্ন স্থানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
যমুনার ভাঙনে কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নের ভেটুয়া গ্রামে অন্তত ১০০টি বসতবাড়ি, শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের অন্তত ৫০টি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ফুলজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরগিরিশ নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ও ভেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। নদী সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় যমুনা পাড়ের মানুষ এখন বন্যার আশংকা করছে।
যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ, নিশ্চিন্তপুর, খাসরাজবাড়ি, চৌহালী উপজেলার খাষকিউলিয়া জনতার স্কুল এলাকা, উমারপুর, স্থল, তেঘরি, কুড়াগাছা, লাঙ্গলমুড়া, ঘোড়জান, ফুলহারা, চালুহারা, শাহজাদপুর উপজেলার গোপালপুর, সোনাতনী, ধীতপুর, শ্রীপুর, কুরসি, মাকড়া, ভাটদিঘুলিয়া, চর ঠুটিয়া, বেলকুচি উপজেলার বড়ধূল ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারি ও বাহুকা গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। আর এই ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই চরাঞ্চলের আঁখ পাট ও বাদামসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এ ভাঙ্গনে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড তেমন খোঁজ খবরও নেয়না। প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় বর্ষণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং সেইসাথে ভাঙ্গনের তীব্রতাও বাড়ছে। ভাঙ্গনের মুখে অনত্র আশ্রয় নেয়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক স্থানে ভাঙনও শুরু হয়েছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন এ বিষয়ে বলেন, কয়েকদিন ধরে যমুনায় পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বাড়ছে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং সেরকম বন্যার আশংকা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৫৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।