বাসস
  ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৩:৫৩
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৪:০৮

খাগড়াছড়িতে বিদেশি জাতের আম চাষে নতুন সম্ভাবনা

খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিদেশি জাতের আম চাষ। ছবি : বাসস

খাগড়াছড়ি, ৬ জুলাই ২০২৫(বাসস):  জেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিদেশি জাতের আম চাষ। জাপান, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার নামী দামী জাতের আম এখন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। আকর্ষণীয় রঙ, অসাধারণ স্বাদ এবং উচ্চ বাজারমূল্যের কারণে এই আমগুলোর প্রতি ক্রেতা ও কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোন ছড়া এলাকার কৃষক উচনু চৌধুরী দেশীয় জাতের পাশাপাশি ৫ একর জমিতে বিদেশি জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। তার বাগানে রয়েছে মিয়াজাকি, চিয়াংমাই, ব্যানানা ম্যাংগো, আমেরিকান রেড পালমার, কিউজাই ও ব্ল্যাকস্টোন ম্যাংগোর মতো জনপ্রিয় জাত। 

একই উপজেলায় মং গ্রীন লাইফ অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মংশিতু চৌধুরী ২০১৪ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে আম চাষে নামেন। বর্তমানে তিনি ৩০ একর জমিতে ৫৪ প্রজাতির দেশী ও বিদেশী আম চাষ করছেন। চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় এই চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

খাগড়াছড়ির ফল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি সমির হোসেন সুজন জানান, বাজারে এক কেজি মিয়াজাকি আম বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়। রেড আইভরি, হানিডিউ ও আরটুইট ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, ব্যানানা ও কিউজাই ম্যাংগো ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কিং অফ চাকাপা  ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং পালমার ও ব্রুনাই কিং ৫০০ টাকায়। তবে দিনে দিনে ফলন বাড়লেও বিক্রি করতে গিয়ে নানারকম হয়রানির শিকার হওয়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাছিরুল আলম বলেন, খাগড়াছড়িতে 

বিদেশী আম চাষে আগ্রহ বাড়ছে। কৃষকদের উৎসাহিত করতে চাষিদের  প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। 

তিনি জানান, খাগড়াছড়ি জেলায়  ৪ হাজার ৪ শত ২১ হেক্টর জমিতে আমের বাগান  রয়েছে। এবার উৎপাদন হয়েছে  ৫৪ হাজার মেট্রিক টন। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে খাগড়াছড়ির অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে এবং কৃষি খাত হয়ে উঠবে আরও শক্তিশালী ও লাভজনক।