বাসস
  ২৮ জুন ২০২৫, ১৫:৩৬

হিলি স্থলবন্দরে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য মজুদের অভিযোগে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মামলা

হিলি স্থলবন্দরে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য মজুদের অভিযোগে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মামলা। ছবি: বাসস

দিনাজপুর, ২৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) : জেলার হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরে অবৈধভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যশস্য মজুদের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে দিনাজপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক মো. নাজমুল হক বাসসকে জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করা হয়। চাল, মসুর ডাল ও ধানসহ প্রায় ৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের খাদ্যশস্য মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও গুদামজাত করে রাখার অভিযোগে গুদাম মালিক ও ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। 

মামলার আসামীরা হলেন, জেলার হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাইক্রো গ্রেইন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাকিমপুর উপজেলার উত্তর বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হাকিম মণ্ডল (৬২) এবং ওই খাদ্য গুদামের ব্যবস্থাপক জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হুমায়ুন কবির (৪২)। 

এর আগে গত ২৫ জুন জেলার হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদের উপস্থিতিতে ওই ব্যবসায়ীর খাদ্য গুদাম থেকে ২ হাজার ২৫১ টন চাল, মসুর ডাল ও ধান জব্দ করা হয়। 

মামলার বাদী সোহেল আহমেদ জানান, গত ২৫ জুন বিকেলে হাকিমপুর পৌর শহরের উত্তর বাসুদেবপুর এলাকায় মেসার্স মাইক্রো গ্রিন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ব্যবসায়িক খাদ্য গুদামে অবৈধভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ চাল, মসুর ডাল ও ধান মজুদ আছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন সন্ধ্যায় ইউএনও অমিত রায় ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদের নেতৃত্বে থানা পুলিশ তিনটি খাদ্য গুদামে অভিযান চালায়। জব্দ করা খাদ্যগুলো ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির পর অবৈধ ভাবে মজুদ রাখা হয়েছিল। মজুদকৃত খাদ্যশস্য সিদ্ধ চাল, মসুর ডাল ও ধান মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে খাদ্যশস্যগুলো জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, খাদ্য গুদাম থেকে ৫ হাজার ২৫৮ বস্তায় ১৪৯ দশমিক ৭৭৬ টন সিদ্ধ চাল, ৬৭০টি বস্তায় ৩২ দশমিক ৮৩০ টন মসুর ডাল এবং ১৮ হাজার ১৯৪টি বস্তায় ১ হাজার ১৫৫ দশমিক ৭৭৯ টন ধান জব্দ করা হয়। জব্দ করা খাদ্যশস্যের মোট মূল্য ৫ কোটি ৩৩ লাখ ৭ হাজার ২৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যবসায়িক গুদামে অবৈধভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যশস্য মজুদের অভিযোগে তিনটি গুদাম সিলগালা করে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে হাকিমপুর থানায় খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ এর ৪ ধারায় একটি মামলা করেন।

হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদশর্ক মো. নাজমুল হক বলেন, হিলিতে একটি ব্যবসায়িক খাদ্য গুদামে অবৈধভাবে চাল, মসুর ডাল ও ধান মজুদের অভিযোগে হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।