বাসস
  ২৬ জুন ২০২৫, ১৪:০৯

ওসিসহ ১০ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুবদল নেতার মামলা

খুলনা, ২৬ জুন, ২০২৫ (বাসস): জেলার তেরখাদা থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেনসহ ১০ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছেন যুবদল নেতা।

তেরখাদা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. গোলাম মোস্তফা ভুট্টো বাদি হয়ে গত ২৫ জুন খুলনার বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক মো. নাজমুল কবির মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহিদুল ইসলাম বিষয়টি বাসস’কে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন, তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর কবির, সেকেন্ড অফিসার আব্দুল কাইয়ুম, এসআই চঞ্চল কুমার হালদার, এসআই রুবেল, এসআই এনামুল, এসআই প্রতাপ, এসআই অলিফ ঘোষ, এসআই মোহাম্মদ শাহিন কাদির এবং এসআই বিশ্বজিৎ মিত্র।

তালিকাভুক্ত অভিযুক্তদের মধ্যে তেরখাদা থানার সাবেক ওসি মোশাররফ বর্তমানে খুলনার পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চে কর্মরত।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে অভিযুক্তরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে এবং ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন। 

বাদির অভিযোগ, অভিযুক্তরা তার কাছ থেকে প্রথমে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকিও দেয়। পরে ২০২৩ সালের ২০ জুন বাদীসহ আরো কয়েকজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করে এবং টাকা না পেয়ে তাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়।

এমনকি, তেরখাদা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বুলুর বাবা, যিনি ১১ বছর আগে মারা গেছেন তাকেও একটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।

বাদির অভিযোগ, তিনি অভিযুক্তদের দেড় লাখ টাকা দেওয়ার পরও তাকে নাশকতার একটি মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়। একই কৌশলে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের কাছ থেকেও অর্থ আদায় করা হয়।

বাদি জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন এবং আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন।