বাসস
  ১৪ জুন ২০২৫, ১৪:৩১

জয়পুরহাটে তুলসীগঙ্গা নদীর তীরে ঘুড়ির মেলা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় তুলশীগঙ্গা নদীর তীরে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ঘুড়ির মেলা। ছবি: বাসস

জয়পুরহাট, ১৪ জুন, ২০২৫ (বাসস) : জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায় তুলশীগঙ্গা নদীর তীরে সন্যাসতলা মন্দিরের পাশে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ঘুড়ির মেলা।

গ্রামীণ এ মেলাটি সন্যাসতলীর ঘুড়ির মেলা নামে এলাকায় পরিচিত। মেলার সঠিক ইতিহাস কেউ বলতে না পারলেও জনশ্রুতি আছে সন্যাসী পূজাকে ঘিরে ২শ বছরের বেশি সময় আগে মেলাটির শুরু হয়। সেই থেকে পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি বাংলা বছর জৈষ্ঠ্য মাসের শেষ শুক্রবার বিকেলে বসে গ্রামীণ এ মেলা। চলে ২দিন ধরে।

ঘুড়ির মেলাটি শুক্রবার ও শনিবার ২দিন ব্যাপী চলবে। গতকাল সন্ধার আগে শুরু হয়ে তা আজ সন্ধা পর্যন্ত চলবে। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রাম ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে শত শত মানুষের আগমন ঘটে। 

সন্যাসতলীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সন্যাসীকে পূজা দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন। বিকেলের পর থেকেই মেলায় মানুষের ঢল নামে। এই মেলাকে ঘিরে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে জামাই ও স্বজনদের আপ্যায়ন চলে। রং-বেরঙে ঘুড়ি মেলার মূল আকর্ষণ হলেও বর্তমানে মেলায় বসে রকমারি মিষ্টির দোকান। যেখানে বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি ও চিনির শাহী জিলাপি আকৃষ্ট করে দর্শকদের। মেলায় বাঁশ, কাঠ ও লোহার তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী ও মাছ ধরার নানা যন্ত্রের আমদানিও নজর কাড়ে স্থানীয়দের। শিশুদের খেলাধুলার জিনিসপত্র এবং নারীদের বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্সের দোকানও বসে এ মেলায়।

সন্যাসতলী মেলা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম  বাসসকে জানান, প্রতি বছরের মত এবারেও বসেছে সন্যাসতলী মেলা। এই মেলা প্রায় ২শ বছরের পুরাতন। মেলাটি হিন্দু- মুসলিম সবাই মিলে পরিচালনা করি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এ মেলায়  আসেন।

বিএনপির রাজশাহীর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন -বাসসকে জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই সন্যাসতলী মেলার মূল আর্কষণ ঘুড়ি। এ মেলাকে ঘিরে আশপাশের জেলা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। মেলাটি মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।