শিরোনাম
খুলনা, ১১ জুন, ২০২৫ (বাসস) : খুলনা অঞ্চলে গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে পাট কাটা সম্পন্ন হয়েছে, যার মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রার ৯৬ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং নড়াইল মিলিয়ে এ অঞ্চলের কৃষকরা ৩৮ হাজার ২১৮ হেক্টর জমি থেকে ১ লাখ ৭৬ হাজার মেট্রিক টন পাট সংগ্রহ করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই চার জেলায় ৩৯ হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমি থেকে ২ লাখ মেট্রিক টন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)সূত্রে জানা গেছে, ৩৮ হাজার ৫২ হেক্টর জমি থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন তোষা পাট, ১১৩ হেক্টর জমি থেকে ৫৮৩ মেট্রিক টন দেশীয় পাট ও ৫৩ একর জমি থেকে ২৪৯ মেট্রিক টন মেস্তা পাট উৎপাদিত হয়েছে।
ডিএই জানায়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বাজারেই পাটের দাম ভালো থাকায় এবার পাট চাষ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও পাটের ভালো ফলনে কৃষকরাও খুশি।
কৃষকরা জানান, একসময় খুলনা অঞ্চলের চারটি জেলাতেই ব্যাপক হারে পাটের চাষ হতো। কিন্তু দাম কমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে পাট চাষ কমে যায়। তবে সম্প্রতি বিশ্ববাজারে পাটের দাম বৃদ্ধি এবং পাট চাষে সরকারের সহায়তার কারণে কৃষকরা আবারও পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক রফিকুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, ‘পাট চাষ জমির উর্বরতা বাড়ায় এবং খাদ্যশস্য উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাট ও পাটজাত পণ্যের প্রচার-প্রচারণায় পরিবেশবান্ধব এই ফসলের চাহিদা ও মূল্য উভয়ই বেড়েছে।
তিনি আরো জানান, ‘উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও বীজ সম্প্রসারণ প্রকল্প’-এর আওতায় কৃষকদের পাট চাষ ও রাসায়নিক সার ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় চাষীদের বিভিন্ন প্রণোদনাও দেওয়া হয়।