বাসস
  ০৭ জুন ২০২৫, ১৩:২৪

শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার জামাতে মুসল্লিদের ঢল

দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বাসস

কিশোরগঞ্জ, ৭ জুন, ২০২৫ (বাসস) :  উপমহাদেশের  সর্ববৃহৎ ও দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ঈদ জামাতে ঢল নামে মুসল্লিদের। আজ সকাল ৯টায় জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেন ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

ঈদগাহ ময়দানে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিশিষ্টজনরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এ দিকে জামাতকে ঘিরে নেয়া হয় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। র‌্যাব, পুলিশের পাশাপাশি মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ছিল দুই প্লাটুন বিজিবি।

এর আগে সকাল থেকে মুসল্লিরা আসতে থাকেন ঈদগাহের দিকে। প্রতি বছর ঈদের জামাতে এখানে লাখো লাখো মানুষের ঢল নামে। বড় জামাতে নামাজ আদায় করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়, এই ধারণা থেকে প্রতি বছর ঈদের জামাতে অংশ নেয় লাখ লাখ মুসল্লি। দূরদূরান্ত থেকে আসা মুসুল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল নামে দুটি ট্রেন চালু করা হয়।

ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার মোহা. কাজেম উদ্দীন জানান, ঈদুল আজহার জামাতকে ঘিরে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির পাশাপাশি সাদা পোশাকে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার স্বার্থে মাঠে আর্চওয়ে, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোন ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, মাইনোকোলার, সিসি ক্যামেরাসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। এছাড়াও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ছিল বলেও জানান তিনি।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত বলেন, ১৯৮তম ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। দূরের মুসল্লিদের জন্য ঈদের দিন সকালে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলাচল করছে দুটি বিশেষ ট্রেন।

প্রসঙ্গত, ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ জঙ্গি হামলায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। কিন্তু তারপরও ভাটা পড়েনি ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামাতে মুসল্লিদের সমাগমে।