শিরোনাম
ঢাকা, ৫ জুন, ২০২৫ (বাসস): পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কোরবানির সময় যত্রতত্র পশু জবাই, উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য ফেলে রাখার কারণে পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ তৈরি হয়। এসব প্রতিরোধে সকলের সচেতন অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জবাইয়ের সময় ও পরবর্তী কার্যক্রমে যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা (যেমন-গ্লাভস, মাস্ক ও এপ্রোন) নিশ্চিতের পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও পশুর রক্ত, গোবর ও পরিত্যক্ত অংশ নির্ধারিত গর্তে মাটিচাপা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, জবাই করা পশুর উচ্ছিষ্ট যেমন, রক্ত, চামড়া, নাড়িভুঁড়ি, হাড়, শিং, গোবর ইত্যাদি কোনো অবস্থাতেই খোলা স্থানে ফেলে রাখা যাবে না। নির্ধারিত ডাস্টবিন বা স্থানে ফেলতে হবে। পাশাপাশি কোরবানির মাংস বিতরণ বা বর্জ্য অপসারণে প্লাস্টিকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব (বায়োডিগ্রেডেবল) ব্যাগ ও পাত্র ব্যবহারেও উৎসাহিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরবানির বর্জ্য দ্রুত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অপসারণে স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা সকলের সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ব। এর মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করে নিজেরা সুস্থ থাকার পাশপাশি চারপাশকেও নিরাপদ রাখা সম্ভব।
আরো বলা হয়, পরিচ্ছন্নতা শুধু শারীরিক নয়, ঈমানেরও অঙ্গও। তাই পরিচ্ছন্ন কোরবানির মাধ্যমে ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করে স্বাস্থ্যসম্মত, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব দেশ গড়তে সহায়তা করার আহবান জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।