শিরোনাম
মুহাম্মদ নূরুজ্জামান
খুলনা, ২ জুন, ২০২৫ (বাসস) : আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে খুলনা বিভাগের দশ জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৮৯টি। এ চাহিদার বিপরীতে পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে মোট ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৮টি। চাহিদা পূরণের পর এ বছর উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা দাঁড়াবে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮৯টি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লাভজনক হওয়ায় কৃষক ও খামারীরা পশু লালন-পালনের দিকে ঝুঁকছেন। এ বছর খুলনা বিভাগের একলাখ ২৯ হাজার ৬২৩টি খামারে কোরবানির পশু লালন-পালন করা হয়েছে। পশুর মধ্যে রয়েছে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৪৮টি ষাঁড়, ৪৫ হাজার ৯১৮টি বলদ ও ৭৩ হাজার ৬৬৫টি গাভী মিলে মোট গরু ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩১টি। এছাড়া ৬ হাজার ৩১৭টি মহিষ, ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬০৩টি ছাগল, ৫১ হাজার ১৩২টি ভেড়া এবং অন্যান্য পশু ৯৫টি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগের দশ জেলার মধ্যে খুলনার ১০ হাজার ৬৭৮টি খামারে একলাখ ৬৩ হাজার ৩১টি পশু, বাগেরহাটের ৮ হাজার ৭৮টি খামারে ৮৫ হাজার ৪৮টি পশু, সাতক্ষীরার ১২ হাজার ৮৯৪টি খামারে একলাখ ৬০১টি পশু, যশোরের ১৩ হাজার ১৪৬টি খামারে একলাখ ১৪ হাজার ৫৭৪টি পশু, ঝিনাইদহের ১৮ হাজার ৪৫৩টি খামারে দুইলাখ ৬৩ হাজার ১২৯টি পশু, মাগুরার ৫ হাজার ১৮০টি খামারে ৮১ হাজার ৪৭৩টি পশু, নড়াইলের ৪ হাজার ৬৪৯টি খামারে ৫৪ হাজার ৮৮৫টি পশু, কুষ্টিয়ার ১৮ হাজার ৫১৬টি খামারে দুইলাখ ৯৪৮টি পশু, চুয়াডাঙ্গার ১১ হাজার ৩৮২টি খামারে একলাখ ৯৯ হাজার ৪৩৬টি পশু এবং মেহেরপুরের ২৬ হাজার ৬৪৭টি খামারে একলাখ ৭১ হাজার ৭৫৩টি পশু লালন-পালন করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের খামার মালিক মো. জামাল হোসেন জানান, এবার খাদ্যের দাম বেশি থাকা স্বত্ত্বেও কোরবানির পশুর দাম উর্ধ্বমুখী নয়, বরং বেশ কম।
জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের বিসমিল্লাহ্ এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার কামাল হোসেন সুজন জানান, তার খামারে ৬৭টি কোরবানি যোগ্য ষাঁড় আছে। আকার ভেদে যার দাম ৬০ হাজার টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক নুরুল্লাহ মো. আহসান বলেন, স্থানীয়ভাবে পালিত গবাদিপশু দিয়ে এখন কোরবানি-সহ চাহিদার ১০০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি, কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকছে। লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলে কোরবানির পশু পালন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে চাহিদা মেটাতে অন্যদেশ থেকে পশু আমদানি করার প্রয়োজন হচ্ছে না।