বাসস
  ০৩ জুন ২০২৫, ১৪:১৭

খাগড়াছড়ির পশুর হাটে ছোট ও মাঝারি ধরনের গরুর চাহিদা বেশি

ছবি : বাসস

খাগড়াছড়ি,৩ জুন,২০২৫ (বাসস) : কুরবানি  ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদ ঘনিয়ে আসায় খাগড়াছড়িতে জমে উঠেছে পশুর হাট। হাটে ছোট ও মাঝারি ধরনের গরুর চাহিদা থাকায় বিক্রিও ভালো হচ্ছে। দুশ্চিন্তায় আছে বড় গরুর বিক্রেতারা। দরদামে না মেলায় পরের হাটের জন্য অপেক্ষা করছেন অনেক খামারী ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

ক্রেতা বিক্রেতাদের হাক ডাকে খাগড়াছড়ি জেলার ২৬টি কুরবানিরর হাট এখন বেশ সরগরম। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় কৃষক,খামারী এবং ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে আসেন হাটে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জমে উঠে পশুর হাট। বাজেটের মধ্যে পছন্দের গরু খুঁজতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করেছেন ক্রেতারা।  কৃষক ও খামারীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরু পালনের খড়,কুড়াসহ অন্যান্য উপকরনের দাম বেশি, কিন্তু গরু বিক্রিতে  তারা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। বাজার দর হিসেবে লোকসানের আশঙ্কার কথা জানান তারা।

ক্রেতা ও ব্যাপারীরা জানান জেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের কাছে এ বছর ছোট ও মাঝারী আকারের  গরুর চাহিদাই বেশি। ছোট আকারের গরু ৭০ থেকে ৮০ হাজার,মাঝারি আকারের গরু ৯০ থেকে দেড় লক্ষ টাকা  এবং বড় গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে। অনেকে দেখেশুনে হাট থেকে তাদের পছন্দের গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। আবার অনেকে অপেক্ষায় রয়েছেন শেষ হাটের দিনে বাজেটের মধ্যে গরু কেনার জন্যে।

ইজারাদার মোঃ কামাল হোসেন জানিয়েছে কুরবানির হাট জমে উঠেছে। সমতল জেলাগুলোতে খাগড়াছড়ির গরুর বাড়তি আকর্ষণ রয়েছে। রোগমুক্ত প্রাকৃতিকভাবে লালন পালন করা গরু তাদের প্রথম প্রছন্দের তালিকায়।

এছাড়া বাজারে পশুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরে কুরবানির পশু যাচ্ছে প্রতিদিন।

খাগড়াছড়ি প্রাণি সম্পাদ বিভাগ এর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা,  ডা: সুর্পণা দে জানান , জেলার ৯টি উপজেলায় ছোট-বড় মিলে মোট ৩ হাজার খামার রয়েছে।  বড় বড় খামারের পাশাপাশি গ্রামের কৃষক পরিবারগুলো বাড়ীতে বাড়ীতে গড়ে ৩-৪টি করে গবাদিপশু প্রস্তুত করেছে।  জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানিয়েছে, চলতি বছর ৯টি উপজেলায় ১৯ হাজার ১৬০ টি পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে গরু ১২ হাজার ৮১০ টি, মহিষ ১৫ টি, ছাগল ৬ হাজার ১১০ টি এবং ভেড়া ৮০ টি।

আসন্ন কুরবানিতে জেলার চাহিদা মেটানোর পরেও প্রায় ১ হাজার ১৬০টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। সুস্থ সবল ও ভালো গরু যাতে ক্রেতারা নিতে পারেন তার জন্যে হাটে বসেছে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম।

খাগড়াছড়ির পুলিশ পুলিশ সুপার আরিফিন জুয়েল জানান, কুরবানির পশুবাহী ট্রাকসহ বিক্রেতাদের বিভিন্ন স্থানে যাতে চাঁদাবাজি ও হয়রানির শিকার হতে না হয় এবং জাল টাকার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে পুলিশ- প্রশাসন কাজ করছে।

জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায় গেছে গত বছর খাগড়াছড়িতে ১৫ হাজারের মতো পশু কুরবানি  হয়েছে ।তবে এবার খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলায় ২৬ টি পশুর হাটে ১৯ হাজারেও বেশি পশু কুরবানির জন্য  প্রস্তুত রয়েছে।

শেষ সময়ে কুরবানির পশুর হাট-বাজারগুলোতে দাম আরো বাড়বে এমন প্রত্যাশা খামারী ও বাজার ইজারাদারদের।