শিরোনাম
প্রতিবেদন: বাবুল আখতার রানা
নওগাঁ, ২৬ মে, ২০২৫ (বাসস): কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলায় এখন আলোচনার শীর্ষে রয়েছে ৩০ মণ ওজনের “কালা মানিক”। গরুর মালিক দাম ধরেছেন ৮ লাখ টাকা। আর এখন পর্যন্ত দাম বলা হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা। কালা মানিককে এক নজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন সব বয়সি লোকজন। কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বিশাল আকৃতির কালা মানিক।
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের মাষ্টারপাড়া গ্রামের ইউনুস আলী সরদারের এই কালা মানিক ষাঁড়টি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। গায়ের রং কালো হওয়ায় গরুর মালিক ইউনুস আলী সরদার ভালোবেসে তার নাম দিয়েছেন কালা মানিক। কালো জাতের নেপালিয়ান ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৩০ মণ। তাইতো বহু ক্রেতা কালা মানিককে কিনতে ও দেখতে ভিড় করছেন ইউনুস আলীর বাড়িতে।
কালা মানিকের মালিক ইউনুস আলী সরদার বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমি গরুর খামার করে আসছি এবং কোরবানির ঈদকে ঘিরে গরু লালন পালন করে থাকি। আমার খামারে গত ২ বছর ১১ মাস আগে জন্ম নেয় এই কালা মানিক। পরম আদরে তাকে লালন পালন করে আসছি। এটি নেপালিয়ান জাতের ষাঁড়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে বড় করেছি এই কালা মানিককে। কোনো মোটাতাজাকরণ ঔষধ ব্যবহার করা হয়নি। প্রতিদিন কাঁচা ঘাস, চালের খুদ, খড় ও গমের ভুসি খাইয়ে তাকে এতো বড় করা হয়েছে। এই ষাঁড়টিকে এবার কোরবানির ঈদে বিক্রি করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ভালো দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করবো কালা মানিককে। ইতিমধ্যে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে এই ষাঁড়টি কিনতে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা আসছেন গরুটি দেখতে। আজকেও একজন ব্যবসায়ী এসেছিলেন গরু দেখতে। দরে দামে হয়নি তাই বিক্রি করিনি।
স্থানীয়রা জানান, ইউনুস আলী প্রতি বছরই লাভজনকভাবে বড় গরু বিক্রি করেন। এবারও ঈদে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে এনেছেন বিশাল আকৃতির কালা মানিক। আমরা তার পরিবারের সবাই মিলে ষাঁড়টিকে লালন পালন করতে দেখেছি ।
কালা মানিক দেখতে আসা রফিকুল আলম বলেন, গতকাল শুনেছি ইউনুস ভাইয়ের বাড়িতে বিশাল একটি গরু আছে। সরাসরি দেখতে আসলাম। দেখে মনে হলো এটি গরু নয়, একটি হাতি বাঁধা আছে তার বাড়িতে।
ইউনুস আলী বড় ষাঁড় লালন পালন করেন। আর তাকে এই কাজে সব সময় সহযোগিতা করে থাকেন তার ছেলে আবু জাফর ও তার পরিবারের সকল সদস্যরা।
আবু জাফর জানান, অনেক কালো হওয়ায় বাবা তার নাম রেখেছেন কালা মানিক। এত বড় ষাঁড় যে বিক্রির সময় ঘরের দরজা কেটে তাকে বের করতে হবে। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে কালা মানিককে একনজর দেখতে লোকজন ভিড় করে থাকেন। কেউবা মোবাইলে সেলফি তোলেন। ৮ লাখ টাকা দাম রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ৬ লাখ টাকা দাম উঠেছে।
বদলগাছী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিপা রানী বলেন, উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় এই কালা মানিক। ষাড়ের মালিক ইউনুস আলী প্রাকৃতিক উপায়ে কাঁচা ঘাস, খুদের ভাত, খড় খাইয়ে ষাঁড়টিকে বড় করেছেন। উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ সব সময় খামারিদের পাশে রয়েছে এবং থাকবে।