বাসস
  ২৪ মে ২০২৫, ১৪:১২

নেত্রকোনায় বাদাম চাষে লাভবান কৃষকরা

ছবি : বাসস

নেত্রকোনা (হাওরাঞ্চল), ২৪ মে, ২০২৫ (বাসস): জেলায় বাদাম চাষে লাভবান কৃষকরা। কৃষক এলান মিয়া। তিনি তার ৪০ শতাংশ জমিতে গত বছর ধান চাষ করেছিলেন।

তখন ২০ হাজার টাকার ধান বিক্রি করেছিলেন তিনি। কিন্তু এ বছর একই জমিতে প্রথমবারের মতো বাদাম চাষ করেন। এরই মধ্যে তিনি ২০ হাজার টাকার বাদাম বিক্রি করেছেন এবং আরো কমপক্ষে ২০ হাজার টাকার মতো বাদাম বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান।

ধানের বদলে বাদাম চাষ করে লাভবান হওয়ায় জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের এই কৃষক আগামী বছর তার ৯০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করার স্বপ্ন দেখছেন।

সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে কথা হয় কৃষক এলান মিয়াসহ স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের সাথে। বাদাম চাষে তার এই সফলতা দেখে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এলাকার অন্য কৃষকরাও। তারাও আগামী বছর থেকে বাদাম চাষ করবেন বলে জানান।

কৃষক এলান মিয়া বলেন, আমার এই ৯০ শতাংশ জমিতে ধান ও পাট চাষ করে খুব একটা লাভবান হইনি। কিন্তু এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে প্রথমবারের মতো বাদাম চাষ করে বেশ লাভ হয়েছে। স্থানীয় বাজারে বাদামের বেশ চাহিদা রয়েছে। জমি থেকে উঠানোর পর হালকা শুকিয়ে প্রতি কেজি বাদাম ১০০ টাকা কেজি এবং পুরোপুরি শুকনো বাদাম ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

তিনি আরো বলেন, বাদাম চাষে খরচ কম। পরিশ্রম কম। সার ও কীটনাশকও বেশি প্রয়োগ করতে হয় না। অথচ লাভ বেশি। এছাড়া বাদাম উঠানোর পর গাছগুলোও শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

একই গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, আমাদের এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক এ বছর বাদাম চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তাই আমরাও আগামীতে আমাদের জমিতে বাদাম চাষ করব।

কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন দিলদার বলেন, বাদাম একটি লাভজনক উচ্চমূল্যের ফসল। এতে শতকরা ৪৮ থেকে ৫০ ভাগ তেল থাকে। পাশাপাশি ২৫ থেকে ২৮ ভাগ প্রোটিন থাকে। সাধারণত বেলে মাটি এবং বেলে দোঁআশ মাটিতে বাদাম ভালো হয়ে থাকে। এ জন্য আমাদের এই এলাকায় বাদাম চাষের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কিছু কৃষকের মাঝে বাদামের বীজ বিতরণ করা হয়েছিল। তারা লাভবান হয়েছেন। এছাড়া আগ্রহী কৃষকদের বাদাম চাষে যেকোনো ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা কৃষি অফিস প্রদান করবে।