বাসস
  ২২ মে ২০২৫, ২০:১৩

নেত্রকোণার দেওয়ান বাজারে জমে উঠেছে গরু বেচাকেনা

ছবি : বাসস

নেত্রকোণা, ২২ মে ২০২৫ (বাসস) : জেলার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুরের দেওয়ান বাজার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গরুর বাজার। এটি হাওরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরুর বাজার হিসেবে পরিচিত। ব্যাপারীরা এখান থেকে গরু কিনে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে।

কোরবানির সময় দেশি গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় জেলার সবকটি উপজেলা এমনকি জেলার বাইরে থেকে এসেও ক্রেতারা হাওর অঞ্চলের গরু সংগ্রহ করে। দামে কম ও মানে ভালো হওয়ায় প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রেতারা ভিড় করে এ বাজারে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সংবাদকর্মী নুরুল হক রনু জানান, এটি শত বছরের  পুরোনো একটি গরুর বাজার। এখানে  কোরবানির ঈদ মৌসুমে কোটি কোটি টাকার গরু বিক্রি করা হয়। দূর দূরান্ত থেকে পাইকাররা এসে এখান থেকে গরু কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে।

উপজেলার কদমশ্রী থেকে এই বাজারে গরু কিনতে আসা ক্রেতা আরমান বিন মুকুল বলেন, প্রতিবছরই ৫ থেকে ৬ টা গরু কিনি। আজ এখানে বেশ কম দামে গরু বিক্রি হচ্ছে। আজকে কয়েকটি কিনে  নেবো। এতোদিন মানুষের কাছে শুনতাম আজকে নিজে এসে এর প্রমাণ পেলাম। ক্রেতারা এখানে এসে বাজেট অনুযায়ী পছন্দের গরু  কিনে নিতে পারবেন।

স্থানীয় গরুর ব্যাপারী আজির উদ্দিন জানান, জেলার হাওরাঞ্চল বিশেষ করে মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুড়ি,  কেন্দুয়ার হাওরের বিস্তৃত এলাকায় পালিত দেশীয় গরুর সবচেয়ে বড় বাজার এটি। আজকের বাজারে প্রচুর গরু উঠেছে এবং দাম অনেক কম। এখান থেকে গরু সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চড়া দামে বিক্রি করবেন তিনি । 

জেলা প্রাণী সম্পদ  কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল্লাহ জানান, এ বছর জেলায়  কোরবানির পশুর চাহিদা থেকে জোগান বেশি আছে। এ বছর জেলায় মোট ১ লাখ ৬ হাজার ১০০টি গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে এবং ১ লাখ ৩৪ হাজার  ৭৭ টি পশু কোরবানির জন্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় ২৭ হাজার ৯ শত ৭৭ টি বেশি।