শিরোনাম
সিলেট, ২০ মে, ২০২৫ (বাসস) : দিনভর ভারি বর্ষণে নগরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, অনেকের বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট জানিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৮৩ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সকালে ৩ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১০১ মিলিমিটার। ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৬৮ মিলিমিটার। ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
টানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তবে কিছু কিছু এলাকা থেকে ধীরে ধীরে পানি নামছে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেটে আজ রাতে এবং আগামীকালও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টির কারণে নগরের কাজলশাহ, ওসমানী মেডিকেল কলেজ, আখালিয়া, সুবিদবাজার, মেজরটিলা, ইসলামপুর ও দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোড এলাকায় ও ভার্থখলা এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে নাগরিক জীবনে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
মেজরটিলা টেক্সটাইল রোডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় বাসিন্দা কুতুব মিযা জানান, সিটি কর্পোরেশন ড্রেন নির্মাণ শুরু করলেও কাজের তেমন অগ্রগতি নেই। এই কারণে হালকা বৃষ্টিতে এই সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আজ ভারি বৃষ্টির কারণে এই সড়কে কোমর সমান পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের প্রবেশ পথে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় রোগী ও তাদের স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়েন। নোমান আহমদ নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি তার অসুস্থ নানাকে নিয়ে হাসপাতালে আছেন। সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি ও হাসপাতালে সামনে জলাবদ্ধতার কারণে তিনি বের হতে পারেননি। বৃষ্টি থামার পর তিনি হাঁটু পানি মাড়িয়ে বাইরে বের হয়েছেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাই রাফিন বলেন, 'চলতি বছর বর্ষার আগেই আমরা বেশিরভাগ খাল ও নালা পরিষ্কার করেছি, ফলে আগের তুলনায় পরিস্থিতি অনেক ভালো। বৃষ্টির সময় কিছু এলাকায় পানি জমলেও তা দীর্ঘ সময় স্থির থাকছে না।
তিনি আরও বলেন, 'জলাবদ্ধতা দ্রুত চিহ্নিত করতে ড্রোন ও অ্যাকশন ক্যামেরার মাধ্যমে খাল-নালাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলে তাহলে এ বছর দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা হবে না।'