শিরোনাম
\ আয়নাল হক \
রাজশাহী, ১৬ মে, ২০২৫ (বাসস): রাজশাহী বিভাগে আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কোরবানিযোগ্য পশুর সরবরাহ চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই বছর বিভাগের আট জেলায় পশুর সংখ্যা ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার, যেখানে চাহিদা মাত্র ৪০ লাখ। ফলে অতিরিক্ত রয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার পশু।
গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া পালন এখন ঘরে ঘরেই ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সরকার ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। কৃত্রিম প্রজনন ও উন্নত জাত ব্যবহারে দুধ ও মাংস উৎপাদনে এসেছে ব্যাপক উন্নয়ন।
রাজশাহী শহরের ডেইরি উদ্যোক্তা আরাফাত হোসেন জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ও পদ্ধতিতে ক্রসব্রিড গরুর দুধ উৎপাদন বেড়েছে ১০ গুণ। চারঘাট উপজেলার কৃষক আবদুর রাজ্জাক জানান, তিনি সাত মাস ধরে আটটি মহিষ মোটাতাজা করেছেন কোরবানির হাটের জন্য।
বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. অন্তিম কুমার সরকার জানান, পশু বিক্রির জন্য বিভাগজুড়ে ৩০২টি হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬১টি স্থায়ী ও ১৪১টি অস্থায়ী। হাটগুলোতে স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে ২১৩টি পশু চিকিৎসা দল।
পশু চোরাচালান রোধে রাজশাহী সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পাশ্ববর্তী দেশ থেকে কোরবানি পশুর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
গত বছর রাজশাহী বিভাগে ২২ লাখ ১৪ হাজার পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে গরু ছিল ৭ লাখ ১১ হাজার, মহিষ ৯,৪৬৯টি, ছাগল ১২ লাখ ৩১ হাজার এবং ভেড়া ১ লাখ ৮১ হাজার।