শিরোনাম
ঢাকা, ৮ মে, ২০২৫ (বাসস) : শ্রীলঙ্কা মডেলের আদলে বাংলাদেশেও ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পরিচালন বাজেট থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বা কীট ক্রয়েরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব রোধে আশু করণীয় নির্ধারণে সম্প্রতি অংশীজনদের মতামত গ্রহণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আলোচনাসভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চিকিৎসক, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিশেষজ্ঞরা মতামত পেশ করেন। সভায় সকল সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলোকে সচলপূর্বক ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক বার্তা প্রচার করা হবে। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর নিয়ন্ত্রণাধীন এনজিওসমূহের অধিক্ষেত্রে ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে পত্র দেওয়া হবে।
এছাড়া, পাড়া-মহল্লার ধর্মীয় নেতা, বিএনসিসি, স্কাউট, এনজিও, যুবসমাজসহ সচেতন নাগরিকদের সমন্বয়ে দল গঠনপূর্বক বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে। মসজিদের ইমামরা প্রত্যেক জুম্মার খুতবার আগে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করবেন। নির্মাণাধীন, পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত ভবন, অনাবাদি কৃষি জমি, ছাদকৃষি এবং পতিত জলাভূমিসহ অন্যান্য ডেঙ্গু প্রজননের সম্ভাব্য ক্ষেত্রসমূহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নকরণ ও মশা নিধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, স্থানীয় সরকার বিভাগে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত অপরাধের জন্য অর্থদণ্ড প্রদান করা হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব রোধে ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিটি গঠন করা হয়েছে।