বাসস
  ০৬ মে ২০২৫, ২১:০৫

সরকারি এলপিজি গ্যাস বিক্রিতে অনিয়ম : ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুদকের অভিযান

ঢাকা, ৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : সরকারি সিলিন্ডারজাত গ্যাস বিক্রিতে অসাধু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যাপক অনিয়ম ও বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে যুগপৎ এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার দুদকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ঢাকায় পরিচালিত অভিযান থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) অধীন এলপি গ্যাস লিমিটেড প্রতিবছর প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেট্রিক টন এলপিজি গ্যাস বোতলজাত করে পদ্মা, যমুনা, মেঘনা ও স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক নামক চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাজারজাত করে। প্রতি ১২.৫ কেজি সিলিন্ডারের নির্ধারিত মূল্য ৬৯০ টাকা হলেও ডিলারদের মাধ্যমে এসব সরকারি সিলিন্ডারের গ্যাস ক্রস-ফিলিং করে বেসরকারি সিলিন্ডারে ভরে বাজারে ১,৪০০ থেকে ১,৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয় বলে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম জানতে পারে।

অভিযানকালে এক ডিলার কর্তৃক একাধিক ডিলারের অথরাইজেশন ব্যবহার করে গ্যাস উত্তোলন ও অধিক মূল্যে বিক্রয়ের তথ্য পায় দুদক। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ও জাল লাইসেন্স ব্যবহার করে গ্যাস উত্তোলনের ঘটনাও টিমের নজরে আসে। এতে এলপি গ্যাস লিমিটেড, বিপিসি এবং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বে গাফিলতি ও পর্যাপ্ত তদারকির অভাব রয়েছে বলে মনে করছে কমিশনের টিম।

একই অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম-১ দুদক জেলা কার্যালয় থেকেও অপর একটি অভিযান পরিচালিত হয়। টিমটি এলপি গ্যাস লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেড এবং পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়সমূহে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে। প্রাথমিক পর্যালোচনায় সরকারি গ্যাস বিক্রি ও ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান টিম সদস্যরা।

উভয় অভিযানের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা শেষে কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পৃথক বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।