বাসস
  ০৬ মে ২০২৫, ১৪:৪৪

কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর ৪ কি.মি. এলাকাজুড়ে ভাঙন

. এলাকাজুড়ে ভাঙন। ছবি : বাসস

কুষ্টিয়া, ৬মে, ২০২৫(বাসস) : জেলার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মরিচা ইউনিয়নের ভূরকা, হাটখোলা ও কোলদিয়া এলাকায় চার কিলোমিটার জুড়ে এই ভাঙন চলছে। 

ভাঙন রোধে হাটখোলা থেকে ভূরকা পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। দুটি প্রকল্পের আওতায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান।

এদিকে এলাকাবাসী বলছে, পদ্মায় কিছুদিনের মধ্যে নতুন পানি এলে আগ্রাসী রূপ আরও বেড়ে যাবে। এক কিলোমিটার অংশের ভাঙন রোধের উদ্যোগে তাঁরা খুশি হলেও উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন বাকি তিন কিলোমিটারের ভাঙন নিয়ে। তাদের দাবি, পুরো এলাকাতে সাময়িকভাবে ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ব্যবহারের পাশাপাশি দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে চলা ভাঙনে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা আবাদি জমি, বসতবাড়ি, কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঝুঁকিতে রয়েছে নদীর পাড় থেকে মাত্র ৩০ ফুট দূরে থাকা বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।

পদ্মা পাড়ের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান  বাসসকে জানান, একসময় তাঁদের বাড়ি থেকে আবাদি জমিতে যেতে হাঁটতে হতো পাঁচ কিলোমিটার। এখন নদীর পাড়ে আসতে সময় লাগে মাত্র দুই মিনিট। চোখের সামনে পদ্মার আগ্রাসী ভাঙনে হারিয়েছেন চাষের জমি। দ্রুত ভাঙন রোধে টেকসই ব্যবস্থা না নিলে বসতভিটাও হারাতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

সিরাজ মণ্ডল নামের একজন  বাসসকে বলেন, আমাদের এলাকার চার কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে এক কিলোমিটারে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। বাকি তিন কিলোমিটারে এখনই ব্যবস্থা না নিলে এবারের বর্ষায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নদী পাড়ের আরেক বাসিন্দা সুইট আহমেদ বলেন, ভাঙন সাময়িকভাবে রোধে সরকারের উদ্যোগে আমরা খুশি। তবে যত দিন পর্যন্ত স্থায়ী ভাঙন রোধের ব্যবস্থা না হচ্ছে, তত দিন আমরা উদ্বেগের মধ্যেই থাকব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বাসসকে বলেন, আমরা এক কিলোমিটার এলাকার ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছি। বাকি তিন কিলোমিটারের জন্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়েও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে।