বাসস
  ০৫ মে ২০২৫, ১৯:৩২

জাতীয় নারী স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার সুপারিশ স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের

সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন স্বাস্থ সংস্কার কমিশনের সদস্যরা। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক

ঢাকা, ৫ মে, ২০২৫ (বাসস) : নারীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে ‘জাতীয় নারী স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন।

আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খান তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এই প্রতিবেদনে নারীদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জাতীয় নারী স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট’ বিশেষায়িত সেবা প্রদান, সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি হাসপাতালের জন্য রেফারেল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে এবং তাকে স্বাস্থ্যকর্মীদের নারী স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এটি নারীর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত উপেক্ষিত ও জটিল সমস্যার সমাধানে নেতৃত্ব দেবে এবং নারীস্বাস্থ্যকে জাতীয় অগ্রাধিকারের পর্যায়ে উন্নীত করবে। 

এতে বলা হয়, মা, শিশু, কৈশোরকালীন ও বিশেষ প্রয়োজনে থাকা ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী ও সম্মানভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এইসব জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনভিত্তিক ও সংবেদনশীল সেবা-প্রদান ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হন এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত হয়। 

প্রতিবেদনে আরও সুপারিশ করে বলা হয়, নারী স্বাস্থ্যে সরকারি ও ব্যক্তিগত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বা ইন্সটিটিউটগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে এবং সরকারি সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। একই সঙ্গে শিশু, কিশোর-কিশোরী ও বৃদ্ধদের মানসিক সুস্থতা, রোগ, মানসিক ও শারীরিক গড়ন, বুদ্ধিবৃত্তি, চিন্তা-চেতনা, সামাজিকতা ইত্যাদি বিষয়ে সুস্থ ও ও স্বাভাবিক অবস্থা সৃষ্টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

জলবায়ু ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিশু, কিশোর-কিশোরী, মহিলা ও গর্ভবতীদের জন্য সম্মানজনক পরিবেশের নিশ্চয়তা এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দুর্যোগ-নিরোধক ও নারী, শিশু, কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক বান্ধব হয়, তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বাইরে কর্মরত সব চিকিৎসক, নার্স, প্রযুক্তিবিদ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীদের দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ ও উন্নয়নের জন্য তাদের মূল্যবান দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরে আসার জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য একটি বিশেষ নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে, যা প্রত্যাবর্তনকারী পেশাজীবীদের প্রয়োজনীয় সুবিধা ও সহায়তা প্রদান করবে।