বাসস
  ১২ মার্চ ২০২৫, ১৭:১০

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে সিপিডি পরিবারের শোক প্রকাশ

ঢাকা, ১২ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) তাদের বোর্ড সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।

আজ এক শোক বার্তায় সিপিডি উল্লেখ করেছে যে, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী সিপিডি’র একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন এবং এর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

শোক বার্তায় বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে সিপিডি কর্তৃক শুরু হওয়া ‘সৎ ও যোগ্য প্রার্থী প্রচারণা’-এর সময় তিনি নাগরিক কমিটির সদস্য ছিলেন। এই উদ্যোগের অধীনে, সিপিডি ‘ভিশন ২০২১’ ডকুমেন্ট তৈরি করেছে, যার জন্য আমরা তার মূল্যবান মতামত ও নির্দেশনা পেয়েছি। তার পরামর্শ সিপিডি’র কাজকে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি প্রায়শই সিপিডি সংলাপের সভাপতিত্ব করেছেন, যেখানে তার অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ মন্তব্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চিন্তাশীল আলোচনাকে সমৃদ্ধ করেছে। তার সাহসী ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ মতামত অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করতো। তাই তার অনুপস্থিতি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য শূন্যতা তৈরি করবে।

সিপিডি পরিবার সৈয়দ মঞ্জুর-এলাহীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেছে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আজ সকাল ৭টা ৩১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। 

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠক ছিলেন। বাণিজ্য ও শিল্পে অবদানের জন্য বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন। 

উল্লেখযোগ্য পুরস্কার হলো আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ কর্তৃক ‘২০০০ সালের ব্যবসায়িক নির্বাহী’ ও ‘২০০২ সালের ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব’ পুরস্কার।

একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি হওয়ার পাশাপাশি, তিনি দু’বার (১৯৯৬ এবং ২০০১) বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

মঞ্জুর এলাহীর পৈতৃক নিবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার বাইনান গ্রামে। তিনি ১৯৪২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা স্যার সৈয়দ নাসিম আলী কলকাতায় অবিভক্ত বাংলার প্রধান বিচারপতি ছিলেন।