বাসস
  ০৪ জুন ২০২৫, ২০:১২

ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় ও ভ্যাট অব্যাহতিকে ইতিবাচক দেখছে বিএপিআই

ঢাকা, ৪ জুন, ২০২৫ (বাসস): ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ও কর অব্যাহতির সুবিধা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি (বিএপিআই)। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে দেশের ঔষধ শিল্প আরও শক্তিশালী হবে।  

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি’র সিইও মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এই কথা জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, ঔষধের এপিআই শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে বিভিন্ন শুল্কছাড় প্রস্তাব করায় ঔষধের এপিআই শিল্প আরও প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়ক হবে। বিশেষ করে অতি উচ্চমূল্যের ক্যান্সার নিরোধী ঔষধসমূহ বাজারজাত করার পথ সুপ্রশস্ত হবে। এর ফলে সাধারণ জনগণের জন্য উচ্চ প্রযুক্তি ও মানের ঔষধ সবসময় প্রাপ্তির বিপুল নিশ্চয়তা দেশেই তৈরি হবে।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিএপিআই আরো জানায়, আরও কিছু প্রণোদনা পেলে ঔষধ শিল্প শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণই নয়, অন্যতম রপ্তানি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। 

সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঔষধ শিল্পের বিনিয়োগে ব্যবহৃত স্যান্ডউইচপ্যানেল ও ল্যাবরেটরি ফার্নিচারসমূহে এখনও উচ্চ শুল্ক বিদ্যমান রয়েছে। অথচ আগে মাত্র ১ শতাংশ শুল্ক ছিল। সরকার এ বিষয়ে বাড়তি নজর দিলে ঔষধ শিল্পের জন্য প্যানেলের ক্ষেত্রে এই শুল্ক পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসবে।   

এ ছাড়া এবারের বাজেটে সাধারণ ও আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ হাইব্রিড ও ইলেকট্রিক ভেহিক্যালকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে যা জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি। 

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি আরো মনে করে যে, সরকার এবারের বাজেটে যে সমস্ত ভালো উদ্যোগ নিয়েছে তা সাধুবাদযোগ্য। তবে এই ভালো উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে বিশেষত রাজস্ব বোর্ড এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ও আন্তরিক হতে হবে। 

এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে দেওয়া সুবিধাসমূহের পাশাপাশি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা এবং চূড়ান্ত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন জানিয়েছে ঔষধ শিল্প সমিতি।

কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ২৫ শতাংশ রাখা, ওষুধ শিল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্যাক্স যাতে বৃদ্ধি না পায় সেই বিষয়টি বিবেচনা করা এবং কোম্পানিসমূহের জন্য ন্যূনতম কর্পোরেট ট্যাক্সের পরিমাণ মোট বিক্রয় আয়ের ওপর যে ৬ শতাংশ ছিল তা অব্যাহত রাখার আবেদন করা হয়েছে।