বাসস
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:১২

ফরিদপুর-৪ থেকে ভাঙ্গা উপজেলাকে নিয়ে আলাদা আসন করা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

ফাইল ছবি

ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসন (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন, সদরপুর উপজেলা) থেকে ভাঙ্গা উপজেলাকে আলাদা করে ফরিদপুর-৫ সংসদীয় আসন কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, বিএনপির অঙ্গসংগঠন জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম রেজা, আইনজীবী এম. ফাহাদ খান, ব্যবসায়ী এম. এম. শহিদুল ইসলাম শাহীন, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাজাহান শিকদারসহ সদরপুর ও চরভদ্রাসনের ১৬ জন এই রিটটি করেন।

রিটের পর আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, নির্বাচন কমিশন আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ওই প্রজ্ঞাপনে চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলাকে (দুই ইউনিয়ন বাদে) নিয়ে ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করে। এই প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করা হয়। এছাড়া রিটে জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণী আইন ২০২১-এর ৭ ধারা এবং সংবিধানের ১২৫ (ক) অনুচ্ছেদকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব আরও বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন দু’টি সংসদীয় আসন (ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫)-কে একত্রিত করে তিনটি উপজেলার সমন্বয়ে একটি আসন (ফরিদপুর-৪) করে। তবে রিট আবেদনকারীদের কয়েকজন পূর্বের মতো ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫ দু’টি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন পুনর্বহালের জন্য আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন তা নামঞ্জুর করে। অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলার দু’টি ইউনিয়নকে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে। পরবর্তী হাইকোর্ট দুই ইউনিয়ন সরানো প্রশ্নে রুল জারি করেন।