শিরোনাম
ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীতে ৬ তলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেফতার দেখিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ কারাগার থেকে তাকে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় মামলার তদন্ত সংস্থা দুদক তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে।
শুনানি শেষে বিচারক তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরপর তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৪ আগস্ট এবিএম খায়রুল হকসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাজধানীর ২ নম্বর শিক্ষা সম্প্রসারণ সড়কে (নায়েম রোড) পৌনে ১৮ কাঠা জমির ওপর ছয় তলা পৈতৃক বাড়ি রয়েছে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের।
কিন্তু তিনি দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দ্য ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (অ্যালটমেন্ট অব ল্যান্ডস) রুলস, ১৯৬৯ এর বিধি ১৩ লঙ্ঘনের মাধ্যমে হলফনামা দাখিল করে রাজউক-এর ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেন।
নিয়ম অনুযায়ী যাদের প্লট বরাদ্দ বাতিল হবে, তাদের আবেদন আর পুনর্বিবেচনা করা যাবে না। কিন্তু বরাদ্দ বাতিলের পরও তার নামে প্লট পুনর্বহাল করা হয়।
এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কিস্তি ও সুদসহ অর্থ পরিশোধ না করে, পাঁচ বছর পর সুদমুক্তভাবে টাকা জমা দিয়ে তিনি রাজউক-এর বিধি লঙ্ঘন করেন।
এক্ষেত্রে রাজউক-এর প্রচলিত নীতিমালা ভঙ্গ করে, বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করে সুদবাবদ চার লাখ ৭৪ হাজার ২৪০ টাকা পরিশোধ না করে সরকারের ক্ষতিসাধন ও অর্থ আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
মামলার আসামি করা হয়েছে তারা হলেন— রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ ও এস্টেট) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, মো. আবু বক্কার সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভূইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।