শিরোনাম
ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নির্যাতনের মাধ্যমে আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করায় চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন তিন সাক্ষী।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এই অভিযোগ করেন তারা। ওই তিন সাক্ষী হলেন মাহবুবুল আলম হাওলাদার, মাহতাব উদ্দিন ও আলতাফ হাওলাদার। তাদের পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ হোসেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বাসসকে বিষয়টি জানান।
শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, পিরোজপুর-১ আসনের এমপি একেএম আউয়াল ওরফে সাইদুর রহমানসহ ৪০ জন।
অভিযোগকারীদের পক্ষে আইনজীবী পারভেজ বলেন, ২০০৯ সালে মাহবুবুলকে ডেকে আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন এমপি আউয়াল। তবে রাজি না হওয়ায় তাকে তৎকালীন পিপি কার্যালয়ে তুলে নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এরপর দীর্ঘ নির্যাতনের এক পর্যায়ে তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িয়ে সাঈদীর নামে মিথ্যা মামলা দিতে বাধ্য করেন। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও এই মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেন। তখনও তাকে যাত্রাবাড়ী থানার অধীনে কথিত সেইফ হোমে এনে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়। অভিযোগকারী বাকি দুই সাক্ষীরও একই জবানবন্দি নেন তৎকালীন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।
এর আগে গত ২১ আগস্ট সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে গুমসহ নির্যাতনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি। অভিযোগের পাশাপাশি তিনি শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে পরিচালিত বিচার কার্যক্রম নিয়ে আসামি ও তাদের স্বজনসহ সংশ্লিষ্টরা বার বার প্রশ্ন তুললেও তখন আমলে নেয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগ আমলে প্রশ্নবিদ্ধ বিচারিক কার্যক্রমে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগকরাকালীন কারা হেফাজতে ২০২৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী।