বাসস
  ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৪৮

দিনাজপুরে সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন ৩৫ জন

দিনাজপুরে গত বছর ৩ আগষ্ট কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। ছবি : বাসস

।। রোস্তম আলী মন্ডল।।

দিনাজপুর, ৩ আগস্ট ২০২৫ (বাসস): জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আজকের দিন দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ লীগের সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ৬ জন পুলিশ সদস্যও ছিলেন বলে জানা গেছে। 

২০২৪ সালের ৩ আগস্ট দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এবং শহরে একাধিক স্থানে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ছাত্রদের সঙ্গে শেখ হাসিনার ক্যাডারবাহিনীর দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

জেলার কয়েকজন আন্দোলনকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেদিন বিকেলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হাবিপ্রবি'র সামনের সড়কে সমবেত হতে থাকেন। একই সময় হাবিপ্রবির প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কোটা সংস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টা-পাল্টি স্লোগান দিতে থাকে তারা। 

বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হাবিপ্রবির সামনে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে কোটা সংস্কারের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর মিছিল কারীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বসে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। ঘণ্টা দুই এভাবেই চলতে থাকে। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পুলিশ আসে। এ সময় সংঘর্ষে ৬ পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হন। 

এর আগে দুপুরে দিনাজপুর সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

এছাড়া ৩ আগস্ট শহরের লিলি মোড়, মর্ডান মোড় ও সদর হাসপাতালের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ধাওয়া পাল্টা- ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

ওই দিন দিনাজপুর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়েছিল, সংঘর্ষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের ৬ সদস্যসহ মোট ৩৫ জন আহত হয়েছিলেন। 

সন্ধ্যার পর দিনাজপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, সরকারি কলেজ এবং হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছিল। এছাড়া রাস্তায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের নামিয়ে টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। এরপরও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।