শিরোনাম
চাঁদপুর, ৩১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবিতে সারাদেশে ‘মার্চ ফর জাস্টিস ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পথে নামে জেলার ছাত্রসমাজ। নিজেদের মধ্যে যথাযথ গোপনীয়তা রক্ষা ও আত্মরক্ষার কৌশল অবলম্বন করেই তারা কর্মসূচিতে যোগ দেয়। সেসময় পুলিশ তাদের ঘিরে রাখলেও কর্মসূচিতে কোনো বাঁধা দেয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চব্বিশের ৩১ জুলাই দুপুর ১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের উত্তর পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় চাঁদপুর শহর। ‘আমার খাও, আমার পর, আমার গায়ে গুলি কর’, ‘তোমার কোটা তুমি নাও, আমার ভাইকে ফিরিয়ে দাও’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, আমার বোন মরলো কেন, জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত আরো দেব রক্ত, জেগেছেরে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা, মেধা’ ইত্যাদি স্লোগানে শিক্ষার্থীদের অটল অবস্থান প্রতিফলিত হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেদিন চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, একই সময়ে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বিশ্বরোড চৌরাস্তায় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ একই কর্মসূচি পালন করে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৩১ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে জেলা পুলিশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলে। তারা যেন কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা না করে এবং জানমালের ক্ষতি না করে সে বিষয়ে তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখে।
মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন বাসসকে বলেন, ‘পুলিশ বাঁধা না দিলেও ছাত্রলীগের ছেলেরা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই কর্মসূচিতে পেছন থেকে হামলা করে ছাত্রলীগ। ওই সময় শিক্ষার্থীরা মিছিল থেকে বিভিন্ন দিকে ছুটে যায়।’
তিনি জানান, ছাত্রলীগের হামলায় মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে ভিপিএন দিয়ে ইন্টারনেট চালিয়ে অপরাপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সরাসরি মোবাইলে কথা বলার জন্য গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা হয়।