শিরোনাম
কক্সবাজার, ২৯ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সারাদেশে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব সম্মিলনে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয় কক্সবাজারে।
১৮ জুলাই কক্সবাজারে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ গুলি চালায়। এদিন আহসান হাবিব নিহত হন। তারপর আন্দোলন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে। কক্সবাজারের প্রথম শহিদ আহসান হাবিবের শোক ও স্থবিরতা কাটিয়ে ২৯ জুলাই বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলার ছাত্র সমাজ। পাড়া-মহল্লা, শহরতলি ও কলেজে আন্দোলনের নতুন ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে।
অনেকের কাছে দিনটি ছিল ‘ছায়া থেকে আলোয় ফেরার দিন’। শিক্ষার্থীরা ২৮ তারিখ রাতেই ২৯ জুলাই একযোগে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেন। জেলাজুড়ে একটি সমন্বিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। এই কর্মসূচিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়।
কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ খালিদ বিন সাঈদ জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের দমন-পীড়ন আমাদের বিচ্ছিন্ন করেছিল, কিন্তু থামাতে পারেনি। ২৮ জুলাই রাতে আমরা আবার সংগঠিত হই এবং ২৯ জুলাই আমরা রাস্তায় নামি। হামলা, গ্রেফতার ও মামলার ভয়কে আমরা পদদলিত করেছি।’
সমন্বয়ক এম সাফওয়ান মুহাম্মদ তারেক বলেন, ‘এটি কেবল সরকারবিরোধী আন্দোলন ছিল না। এটি দীর্ঘস্থায়ী বৈষম্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি গোটা প্রজন্মের প্রতিবাদ। আমরা ইতিহাসের মধ্যে বাস করছি। দেখিয়ে দিয়েছি, এই প্রজন্ম শুধু প্রশ্নই করে না, জবাবও দাবি করে।’