বাসস
  ২৮ জুলাই ২০২৫, ১১:৩০

চাঁদপুরে দিনভর চলে গ্রেপ্তার ও পুলিশের তল্লাশি অভিযান 

ছবি: সংগৃহীত

\ আবদুস সালাম আজাদ জুয়েল \

চাঁদপুর, ২৮ জুলাই ২০২৫ (বাসস) : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে এইদিন চাঁদপুর শহর, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে দফায় দফায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জেলা জুড়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। পুলিশ পুরো জেলা থেকে ৮জনকে গ্রেপ্তার করে। 

চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবির আন্দোলনকে ঘিরে চাঁদপুরে সহিংসতার ঘটনায় ৭টি মামলা দায়ের করা হয়। ওইসব মামলায় ১৮ জুলাই রাত থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জেলা সদর, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও জেলার অন্যান্য উপজেলার বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ জেলাজুড়ে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

এর আগে ১৯ জুলাই রাতে দেশব্যাপী কারফিউ জারির পর হাজীগঞ্জে পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়।

এতে হাজীগঞ্জে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হন। পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হানা দেয়। ফলে গ্রেপ্তার এড়াতে সবাই যে যার মতো আত্মগোপনে চলে যায়।

ছাত্র-আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তামিম খান বলেন, ২৮ জুলাই কারফিউ শিথিল থাকায় আমরা হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়ে মিছিল বের করি। মিছিলটি শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। 

সেদিন চাঁদপুরে ১৫ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়। যান চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। পুলিশের ধরপাকড়ের কারণে আত্মগোপনে চলে যায় অন্দোলনকারীদের অনেকে।

এছাড়াও বন্ধ ছিলো মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড।

এর আগে ১৮ জুলাই বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর শহরের একাধিক স্থান এবং চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের শাহরাস্তি দোয়াভাঙ্গা ও হাজীগঞ্জ উপজেলার এনায়েতপুর এবং টোরাগড় এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। হাজীগঞ্জের ঘটনায় নিহত হন আগুনে পুড়ে যাওয়া কাভার্ডভ্যান চালকের সহকারী আবদুল মাজিদ (২৮)। এসব ঘটনায় চাঁদপুর সদরে দুটি, হাজীগঞ্জ চারটি ও শাহরাস্তি থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।