শিরোনাম
পলিয়ার ওয়াহিদ
ঢাকা, ২৬ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক রক্তাক্ত অধ্যায়। আর এই গণঅভ্যুত্থানের দিনগুলোতে যশোরে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে নেতৃত্ব দেন সামিউল আজিম শিশান।
তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি যবিপ্রবির অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনসহ যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলন সংগ্রামে সম্মুখ সারিতে ছিলেন।
সামিউল আজিম শিশান ২০০৩ সালের ৬ এপ্রিল চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন। যবিপ্রবিতে ভর্তি হয়ে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য হন এবং পরে যশোর পৌর সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ তাকে হলের এক রুমের ভেতরে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করার পর হল থেকে বের করে দেয়।
সামিউল আজিম শিশান বলেন, আবু সাঈদ ও ওয়াসিম আকরাম শহীদ হওয়ার পর তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল হাসিনার পতন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস এর বিশেষ আয়োজন ‘জুলাই জাগরণ’ এর মুখোমুখি হয়েছেন সামিউল আজিম শিশান। একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতার নানা দিক তুলে ধরেছেন। তার এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পলিয়ার ওয়াহিদ।
বাসস : জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। জুলাইয়ের সেই সংগ্রামী সময়ের স্মৃতি কতটা অনুভব করেন?
সামিউল আজিম : অত্যন্ত গভীরভাবেই অনুভব করি। সত্যি বলতে, মাঝে মাঝে রাতের বেলা এই কথা ভেবে শিউরে উঠি, কোন ধরনের পরিস্থিতিতে গত বছর ছিলাম। ওই সময় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভিডিও দেখলে এখনো অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমি নিজেও হামলার শিকার হয়েছি। বেঁচে থেকেও যেন মৃতের জীবন নিয়ে আছি। আমিও শহীদ হতে পারতাম।
বাসস : কোটা সংস্কার আন্দোলনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা কেমন ছিল?
সামিউল আজিম : কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাত ধরে পুরো দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের আন্দোলনের সূচনা হয়। ‘বাংলা ব্লকেড’র দিন আমরা বড় মিছিল বের করি। পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করে। কিন্তু সেদিন কোথাও কোনো নিউজ না হওয়ায় যশোরের ঘটনা তেমন কেউ জানতে পারেনি।
বাসস : জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে এখনো কাউকে বলেননি, এমন কোনো স্মৃতি জানতে চাই।
সামিউল আজিম : এই রকম তো অনেক স্মৃতিই আছে। তার মধ্যে কয়েকটা উল্লেখ করি। শুরুর দিকে আমরা যখন আন্দোলন শুরু করি, তখন আমাদের সঙ্গে গুটি কয়েক মানুষ ছিল। মাইক ভাড়া করার জন্য আামদের কাছে ছিল মাত্র ২০০ টাকা। সেটা জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়েছে। মানুষ না পাওয়ার কারণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ডেকে আনতাম। শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করতে মাইকিং করতাম। কাউকে তেমন পাচ্ছিলাম না। পরে এক বড়ভাই বিশ্রি ভাষায় গালি দিয়ে বললেন, ‘সকাল বেলা ঘুম ভাঙালি কেন?’। গণঅভ্যুত্থানের পর তাকেই দেখলাম আন্দোলন নিয়ে বিশাল স্মৃতিচারণ করতে!
আরেকটা ঘটনা বলার লোভ সামলাতে পারছি না। সমন্বয়ক হওয়ার কারণে ছাত্রলীগ আমাকে হল থেকে মেরে বের করে দেয়। পরে শহরে এক বড় ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নিলাম। সেখান থেকেই আন্দোলনে যোগ দিতাম। আন্দোলনে আমার ভূমিকা দেখে পাশের বাসার ভাই ভয় পেয়ে যান। তিনি আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিতে থাকেন, যাতে আমি ভাইয়ের বাসা ছেড়ে দিই।
বাসস : ডিজিএফআই কত তারিখে আপনাকে তুলে নিয়ে যায়? তখন কী ঘটেছিল?
সামিউল আজিম : ২৮ জুলাই দেখা যায়, সারাদেশে অনেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করছে। সেই সময় আমাদের ওপর নানা ধরনের চাপ আসতে থাকে। ডিজিএফআই আমাদের সমন্বয়ক রাশেদ খানকে কল দিয়ে দেখা করতে বলে। দেখা না করলে আমাদের সবাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তখন আমরা কয়েকজন ঠিক করি, আন্দোলন থামানো যাবে না। সবাইকে যদি তুলে নিয়ে যায়, তাহলে সমস্যা হইতে পারে । তাই আমরা কয়েকজন দেখা করব বলে ঠিক করি। তখন তারা আমাদের একটা লোকেশন দেয়। সেটা ছিল শহরের মাঝামাঝি এক স্থানে, কিন্তু বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় পরিত্যক্ত বাড়ি। আমরা সেখানে যাই। প্রথমে তারা আমাদের সাথে খুব সুন্দর ব্যবহার করে এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বলে। আমরা তা মানতে নারাজ হই। কিছুক্ষণ পর তারা আমাদের বেশ মোটা অংকের টাকা অফার করে। আমরা এতে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। আমরা যে ডিজিএফআইয়ের লোকদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি, এটা সবাইকে জানিয়ে এসেছিলাম। আমাদের কিছু সহযোদ্ধা ডিজিএফআইয়ের ওই অফিসের আশেপাশে জড়ো হতে থাকে। ডিজিএফআই সেটা টের পেয়ে যায়। পরে আমাদের ছেড়ে দেয়। ওইদিন থেকে আমাদের সমন্বয়ক রাশেদ খানের আচরণ সন্দেহজনক হতে শুরু করে। পরবর্তীতে আমরাই আন্দোলন অব্যাহত রাখি।
বাসস : জুলাইয়ের কত তারিখে আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন?
সামিউল আজিম : আমি জুলাইয়ের ৫ তারিখ থেকেই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত মাঠে ছিলাম। কিন্তু তখন যাদের আন্দোলনে ডেকেও পাওয়া যেত না, তারাই আজ বড় বড় নেতা। এটা দেখে এখন হাসি পায়, দুঃখও লাগে।
বাসস : এক দফা ঘোষণার আগে কি বুঝতে পেরেছিলেন হাসিনা পালিয়ে যাবে?
সামিউল আজিম : হ্যাঁ। আমি মূলত এই একটি মাত্র আশা নিয়েই আন্দোলনে অংশ নিই। আমি চেয়েছি, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হোক। তার নির্যাতনে মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। যেদিন রাজাকার রাজাকার মিছিল হলো, সেদিনই তার পতনের বিষয়টা আন্দাজ করতে পারি। আর যেদিন ওয়াসিম ও আবু সাইদ শহীদ হলেন, সেদিন নিশ্চিত হই, তাকে আর আমরা ক্ষমতায় থাকতে দেব না। নিজে সব সময় ভাবতাম, আজেই বোধ হয় শেষ দিন। কাল আর ঘরে ফিরতে পারব না।
বাসস : ৫ আগস্ট তথা ৩৬ জুলাই সকালে কোথায় আন্দোলন করেন? হাসিনা পালানোর খবর কখন, কার মাধ্যমে পান? তারপর কী অনুভূতি হয়েছিল?
সামিউল আজিম : তখন যশোরের চাঁচড়ার মোড়ে আন্দোলন করছিলাম। বেলা দুইটার দিকে আমার সহযোদ্ধা জাবেরের কাছে হাসিনার পালানোর খবর পাই। তখন আমি উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলাম। সেদিন আসলে কেমন অনুভূতি হয়েছিল, সেটা প্রকাশ করার মতো ভাষা আমার নাই। এত ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া বিপ্লবের অনুভূতি প্রকাশ করা কি এত সহজ?
বাসস : আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা কেমন ছিল?
সামিউল আজিম : আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ভূমিকা ছিল অসাধারণ। এই আন্দোলনে আমরা চাটুকার ও সম্মানিত উভয় ধরনের শিক্ষককেই দেখেছি। এই সম্মানিত শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন, তারা আমাদের সাহস জুগিয়েছেন। এখানে আমার সম্মানিত শিক্ষক অভিনু কিব্রিয়া ইসলামের কথা না বলে পারছি না। আমরা ১৮ জুলাই হলে ভাত খেতে আসি। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করি, তখন আমাদেরই আরেকজন শিক্ষক পুলিশদের প্রভোক করছিল- তারা যেন আমাদের ওপর গুলি চালায়। সেই সময় আমাদের অভিনু স্যার আমাদেরকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে আমাদের আটকে রাখতে না পেরে তিনি প্রায় কান্না করে দেন। পরে তিনি আমাদের এই জঘন্য পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাব্বানী স্যারের সেই কবিতা পাঠ আমাকে এখনো নাড়া দেয়।
বাসস : আন্দোলনে অংশগ্রহণের ফেলে পরিবার থেকে কোনো বাঁধা পেয়েছেন? বাবা-মা কি বলতেন?
সামিউল আজিম : আমি ভাগ্যবান মানুষদের মধ্যে একজন। বাবা-মা আমাকে কোনো ধরনের বাধা দেননি। আমি বাড়ির একমাত্র ছেলে, তবুও মায়ের একটা কথা মনে পড়ে- ‘তোকে জন্ম দিয়েছি দেশের জন্য । তার জন্য যদি তোকে জীবন দিতে হয় দিবি। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তুইও নিজেকে দেশের জন্য উজাড় করে দে।’
বাসস : আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কীভাবে প্রভাবিত করেছিল?
সামিউল আজিম : বিভিন্ন অপকর্মের জন্য ছাত্রলীগের ওপর শিক্ষার্থীদের অনেক দিন ধরে ক্ষোভ জমা ছিল । তারা শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে এবং হাসিনার পারপাস সার্ভ করেছে। ছাত্রলীগ যখন আন্দোলনে হামলা করে, তখন শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ বিস্ফোরিত হয়। মৌমাছির মতো শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে।
বাসস : আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা কেমন ছিল?
সামিউল আজিম : এই আন্দোলনকে অনন্য মাত্রায় মহামান্বিত করেছেন নারী শিক্ষার্থীরা। তারা জেন্ডার সমতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়েও বেশি ভূমিকা রেখেছেন। আমাদের যশোরের কথা না বললেই নয়। পুলিশ যখন আমাদের ওপর হামলা করতে উদ্যত হয়েছিল, নারী শিক্ষার্থীরা আমাদের সামনে ঢাল হিসেবে ছিলেন। তবে আফসোস আন্দোলন পরবর্তী সময়ে আমরা তাদের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারিনি।
বাসস : আন্দোলন দমনে প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকাকে কীভাবে দেখেন?
সামিউল আজিম : পুলিশের ভূমিকা আলাদা করে বলার কিছু নাই । পুলিশ ছিল খুনি হাসিনার অস্ত্রধারী পেটুয়া বাহিনী। তারা দেশের মানুষের ওপর যে জঘন্য হামলা করেছিল, তার শাস্তি আমরা দিতে পারিনি। দরকার ছিল পুলিশ বাহিনীকে ডেথ ঘোষণা করে নতুন বাহিনী গড়ে তোলা। কারণ আমি এখনো বিশ্বাস করি, নৈতিকভাবে পরাজিত এই পুলিশ দিয়ে আপনি দেশের আইনশৃঙ্খলা কখনো ঠিক করতে পারবেন না। বিশেষ করে, যেসব পুলিশ ছাত্রদের গুলি করেছে, তাদের মনোজগত আপনি কখনো পরিবর্তন করতে পারবেন? তারা আমাদের দিকে গুলি করেছে। ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। আপনি এটা ভাবতে পারেন? এদের সাহস কত? কীভাবে এসব হতে পারে? সেসব ছেলেরা রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে দেশের দ্বিতীয়স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, তাদের সেই রক্ত শুকানোর আগেই পুলিশ আবার লাঠি চালায়? যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের সবার ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের কেন ধরা হয়নি? তাদের বিরুদ্ধে সুনির্ষ্টিভাবে কেন মামলা হয়নি? যারা অপরাধী নয়, আমি তাদের হেনস্থা করার পক্ষে নই, কিন্তু যারা সরাসরি গুলি করেছে, তাদের আপনি ছেড়ে দেবেন? তাহলে কার বিচার করবেন? শিক্ষা, চিকিৎসা ও পুলিশ সংস্কার ছিল জরুরি। সেই তিনটি বিভাগই এখনো অবহেলিত। এ জন্য কি আমার ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছে?
বাসস : আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আপনি কী ধরনের হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন?
সামিউল আজিম : আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশে সম্ভবত আমি প্রথম ব্যক্তি, যাকে ছাত্রলীগ আন্দোলন করার কারণে রুমে নিয়ে টর্চার করে। ঘটনাটি ১৫ জুলাই ঘটে। পরবর্তীতে নানা ধরনের হুমকির সম্মুখীন হয়েছি। বহুবার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছি। ডিজিএফআই তাদের কার্যালয়ে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য নানা ধরনের হুমকিও দিয়েছিল।
বাসস : আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জন্য আপনারা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
সামিউল আজিম : আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেছি। যশোরের হাসপাতালগুলোতে আবেদন করেছি, যাতে জুলাই আন্দোলনে আহতের কাছ থেকে টাকা না নেওয়া হয়। ফ্রিতে যাতে তাদের চিকিৎসা করা হয়। জেলা প্রশাসকসহ সবার কাছেই গিয়ে এসব বলেছি।
বাসস : গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আপনার প্রত্যাশা কী?
সামিউল আজিম : আমাদের চাওয়া,বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, যেখানে সরকার সকল শ্রেণির মানুষের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে ।
বাসস: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সামিউল আজিম : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা এবং আপনাকেও ধন্যবাদ।