শিরোনাম

ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় মারিউপোল শহরে ২০২২ সালে রুশ আগ্রাসন শুরুর সময় বোমা হামলায় বিধ্বস্ত হওয়া একটি থিয়েটার ব্যাপক সংষ্কারের পর পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
মস্কো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
রোববার এ উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করা হয়। মারিউপোল ও রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের শিল্পীরা এতে অংশ নেন। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে পুনর্নির্মিত মার্বেলের সিঁড়ি ও স্তম্ভ দেখা যায়। এছাড়া, মিলনায়তনে ঝুলে থাকা ২ দশমিক ৫ টন ওজনের স্ফটিক ঝাড়বাতিও দেখা যায়।
২০২২ সালে হামলা শুরুর প্রথম দিকেই রুশ বাহিনী কৃষ্ণসাগর উপকূলীয় ব্যস্ত শহর মারিউপোলে প্রবেশ করে এবং প্রায় তিন মাস ধরে কঠোর অবরোধ জারি রাখে। এতে হাজারো মানুষের প্রাণহানি ঘটে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসাবে প্রায় ৮ হাজার এবং নির্বাসিত ইউক্রেনীয় নগর পরিষদের মতে ২২ হাজার মানুষ নিহত হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, থিয়েটারটিতে বোমা হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়।
আজভ সাগর উপকূলের এই শহরটি মারাত্মকভাবে বিধ্বস্ত হয় এবং যুদ্ধের আগের ৫ লাখ ৪০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩ লাখ মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, অবরোধের সময় শহরের ৯০ শতাংশ ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে রাশিয়া তাদের নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনীয় এলাকাগুলোতে মারিউপোলকে নতুন সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেয়।
২০২২ সালে থিয়েটারে বোমা হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয় বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল পুনরায় উল্লেখ করেছে।
দোনেৎস্ক অঞ্চলের রুশপন্থী নেতা দেনিস পুশিলিন বলেন, তিন বছরব্যাপী পুনর্নির্মাণ কাজ শেষে মারিউপোল ড্রামা থিয়েটার দর্শকদের জন্য আবারো দরজা খুলে দিয়েছে।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক মন্তব্যে তিনি জানান, থিয়েটারটির ভাস্কর্যখচিত সম্মুখভাগসহ ‘ঐতিহাসিক রূপ’ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং এতে ‘সর্বোচ্চ মানের আধুনিক সরঞ্জাম’ সংযোজন করা হয়েছে।
সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরটি পুনর্নির্মাণ কাজে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন ওই শহরের গভর্নর আলেক্সান্ডার বেগলভ। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সেখান থেকে শ্রমিক ও স্থপতিদের মারিউপোলে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়া দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— ইউক্রেনের এই চারটি অঞ্চলের সংযুক্তিকরণের ঘোষণা দেয়, যদিও অঞ্চলগুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখনো তাদের হাতে নেই।