বাসস
  ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৩২

‘তাৎক্ষণিক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া শনিবার ‘তাৎক্ষণিক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে দুই দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে। সীমান্ত সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানির অবসানে তারা এই অঙ্গীকার করেছে।

ব্যাংকক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) উভয় পক্ষকে সৎভাবে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার তুর্ক আশা প্রকাশ করে বলেন, এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী শান্তির পথে নিয়ে যাবে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, কামান, ট্যাংক, ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা তিন সপ্তাহের সংঘর্ষে অন্তত ৪৭ জন নিহত এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সংঘাত দুই দেশের প্রায় সব সীমান্ত প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে, যা পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতি ভেঙে দেয়। সেই যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শনিবার দুপুর ১২টা (স্থানীয় সময়) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়। থাই সীমান্ত চৌকিতে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি ‘সব ধরনের অস্ত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, যার মধ্যে বেসামরিক নাগরিক, বেসামরিক স্থাপনা, অবকাঠামো এবং উভয় পক্ষের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অন্তর্ভুক্ত।

উভয় দেশ সেনা চলাচল স্থগিত করতে এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত বেসামরিক নাগরিকদের দ্রুত ঘরে ফেরার অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে।

এছাড়া তারা মাইন অপসারণ কার্যক্রম ও সাইবার অপরাধ দমনে সহযোগিতার বিষয়ে একমত হয়েছে। একই সঙ্গে আটক ১৮ জন কম্বোডীয় সেনাকে থাইল্যান্ড ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফেরত দেবে বলে জানানো হয়।

থাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাত্তাফন নার্কফানিত বলেছেন, প্রাথমিক তিন দিনের সময়সীমা হবে ‘পর্যবেক্ষণকাল, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যুদ্ধবিরতি বাস্তব।’

তিনি যুদ্ধবিরতিকে ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের দ্বার’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

বাস্তুচ্যুত কম্বোডীয় নাগরিক ওয়েম রাকসমে এএফপিকে বলেন, যুদ্ধ বন্ধ হলে মানুষ বাড়ি ফিরতে পারবে— এতে আমি খুবই খুশি।

তবে ২২ বছর বয়সি ওই নারী বলেন, আমি এখনো বাড়ি ফিরতে সাহস পাচ্ছি না। আমি এখনো ভয় পাচ্ছি। তিনি বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে কম্বোডিয়ার সিয়েম রিয়াপ প্রদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।