বাসস
  ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৮

উত্তর কোরিয়ার সংবাদপত্রের ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করছে দক্ষিণ কোরিয়া

ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র পড়ার সুযোগ সহজ করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং প্রশাসনের সর্বশেষ উদ্যোগ এটি।

সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। ফলে পিয়ংইয়ংয়ের যেকোনো ধরনের প্রচারণা বা প্রোপাগান্ডার ওপর কয়েক দশক ধরে চলা জাতীয় নিরাপত্তা নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট লি-সহ অনেকেই মনে করেন, উত্তর কোরিয়ার প্রচারণামূলক লেখায় সাধারণত তাদের নেতৃত্বের গুণগান গাওয়া হয়। তাই এসব লেখা দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার মতো রাজনৈতিকভাবে অপরিপক্ক দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ নয়। তারা নিজেরাই বিষয়গুলো বিচার করার ক্ষমতা রাখে।

দক্ষিণ কোরিয়ার মতো একটি প্রাণবন্ত ও উচ্চশিক্ষিত গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসলে অপ্রয়োজনীয় সেন্সরশিপ বা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া আর কিছুই নয় বলেও যুক্তি দেন তারা।

সিউল সরকার শুক্রবার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে ‘রোদং সিনমুন’ সংবাদপত্রটিকে ‘বিশেষ তথ্য’ তালিকা থেকে সরিয়ে ‘সাধারণ তথ্য’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করার ব্যাপারে একমত হয়েছে।

সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই ‘রোদং সিনমুন’ সাধারণ তথ্য হিসেবে উন্মুক্ত করার আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা কার্যকর হবে।

এর আগে গত সপ্তাহে সিউলের ইউনিফিকেশন মন্ত্রণালয় প্রেসিডেন্ট লি-কে জানায়, তারা উত্তর কোরিয়ার কিছু প্রচারণামূলক বিষয়বস্তু জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে চায়।

সেই সময় লি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে মানুষ ‘কমিউনিস্ট’ হয়ে যাবে, এমন আশংকা অমূলক। বরং এর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার প্রকৃত পরিস্থিতি বোঝা যাবে এবং মানুষ সচেতন হতে পারবে।

চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট লি তার পূর্বসূরি প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে বলেন, উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে ড্রোন ও লিফলেট পাঠানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তার জন্য উত্তরের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। লি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। তবে, এখন পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।