শিরোনাম

ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নিরপেক্ষ স্থান কুয়ালালামপুরে করতে আহ্বান জানায়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি চিঠির মাধ্যমে থাইল্যান্ডকে এ অনুরোধ করেছে বলে জানা গেছে।
দুই দেশের মধ্যে দুই সপ্তাহ ধরে চলা সীমান্ত সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি শর্ত নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি মাসে নতুন করে সংঘটিত লড়াইয়ে থাইল্যান্ডে কমপক্ষে ২৩ জন এবং কম্বোডিয়ায় ২১ জন নিহত হয়েছে এবং উভয় পক্ষের ৯ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসাক ফুয়াংকেতকেও সোমবার মালয়েশিয়ার রাজধানীতে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় নেশনস অ্যাসোসিয়েশন (আসিয়ান)-এর সদস্যদের সাথে বৈঠকের পর কম্বোডিয়ার সাথে আলোচনার ঘোষণা দেন। যার সদস্য কম্বোডিয়াও।
সিহাসাক সাংবাদিকদের জানান, আলোচনা বুধবার থাইল্যান্ডের চান্তাবুরি অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত কমিটির কাঠামোর মধ্যে হবে।
তবে গতকাল সোমবার থাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাত্তাফোন নারকফানিটকে লেখা এক চিঠিতে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী টি সেইহা কুয়ালালামপুরে বৈঠকটি আয়োজনের অনুরোধ করেছেন।
টি সেইহা এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘সীমান্তে চলমান যুদ্ধের কারণে এবং নিরাপত্তার কারণে, এই বৈঠকটি একটি নিরাপদ এবং নিরপেক্ষ স্থানে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ান-এর সভাপতি মালয়েশিয়া তাদের রাজধানী কুয়ালালামপুরে আলোচনার আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে।
কম্বোডিয়া জানিয়েছে, থাইল্যান্ড গতকাল সোমবার তাদের অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার সকালে সীমান্তে যুদ্ধ চলছে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, থাই বাহিনী কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোয়েপেটে গোলাবর্ষণ করেছে।